রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ঘুমের ওষুধ খাওয়ার তিন কারণ

q3o6ibiu

অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার তিনটি কারণের কথা নিজ জবানিতে জানিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। এই তিন কারণের মধ্যে স্টেজ প্রোগ্রাম করতে না দেয়া, ঘুম না হওয়া এবং মানসিক দুশ্চিন্তা। তিনি বলেন, মানসিক আপসেট ছিলাম এটা একটা সাবজেক্ট। আমাকে শো করতে দেয়া হচ্ছিল না- এটা একটা সাবজেক্ট। আর দীর্ঘদিন ধরে
আমি ঘুমের সমস্যায় ভুগছিলাম। আমার ঘুম হচ্ছিল না- এটা আরেকটা সাবজেক্ট। আমি মাতব্বর তো। আমার মা বলতো আমি একরোখা টাইপের। বেশি মাতব্বরি করতে গিয়ে মনে হলো চারটা ট্যাবলেটে কি ঘুম হবে? বাড়িভর্তি লোকজন আছে। আচ্ছা ঠিক আছে সাতটা ট্যাবলেট খেয়ে ফেলি। পয়েন্ট জিরো থ্রি মাত্রা, এটাতে আর কি হবে? গতকাল বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে গুজব ছড়ানো হয়েছে দাবি করে ন্যান্সি বলেন, বাসায় আসার পর এত লম্বা লম্বা হিস্ট্রি শুনলাম যে, আমি বোকা হয়ে গেলাম। আমার স্বামীর সঙ্গে নাকি বনিবনা হচ্ছে না। যে কারণে আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। এখন আমার কথা হচ্ছে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত আমাকে কে নিয়ে এলো। আমার বাবা বিয়ে করেছেন আরও ১৪ বছর আগে। তো ১৪ বছর পরে হঠাৎ করে আমার মধ্যে ডিপ্রেশন আসার কারণ নেই। একটি মহল তার গান বন্ধ করার জন্য অপচেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এটা একটা শ্রেণির দুষ্টুমি। আমার গান বন্ধ করতে হলে এসব আত্মহত্যার নাটক বানানোর দরকার কি? সরাসরি বলে দিলেই হয় ন্যান্সি আমরা চাই না তুমি গান করো। সত্যি কথা আপনি বিশ্বাস করেন, কসম আমি ঠিক করছি কেউ আপনারা বলেন যে, আপনারা আমার গান শুনতে চান না। কসম আমার মা’র স্বপ্ন ছিল আমি রুনা লায়লা হবো। সব স্বপ্ন আমি ভেঙে দিবো। আমি কোনদিন গান গাইবো না। আমি নিজের জন্যও গুণগুণ করে গাইবো না।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই আগস্ট অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ন্যান্সি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। পরে নেয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে তিনি বাসায় ফিরেন। অসুস্থ হওয়ার পর ন্যান্সি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে আলোচনা হলেও সুস্থ হয়ে তিনি জানিয়েছেন, শান্তিতে ঘুমের জন্য তিনি এ কাজ করেছিলেন।