সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বাস ধর্মঘট শুরু

bus-strike_197604_267611

 

রিদপুরে গোলযোগের ঘটনায় আটক দুই বাস শ্রমিককে নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, ফরিদপুরের এসপি ও মধুখালী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অভ্যন্তরীণ সব রুট এবং ঢাকার সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে।এর আগে দেয়া মালিক-শ্রমিকদের আল্টিমেটাম কর্তৃপক্ষ আমলে না নেয়ায় শুক্রবার থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।ফলে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অভ্যন্তরীণ সব রুট এবং ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছে।বাস ধর্মঘটের কারণে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। বিশেষ করে বেনাপোল স্থল বন্দর চেকপোস্টে কয়েকশ’ ভারত ফেরত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এসব যাত্রীদের কেউ কেউ ইজিবাইক, ভ্যান রিকশা নিয়ে যশোরে এসে ট্রেনে করে গন্তব্য স্থানে যাবার চেষ্টা করছেন। সব চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে চিকিসার জন্য ভারতগামী শত শত যাত্রীকে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।খুলনা বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বুধবার দাবি মেনে নিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল।বুধবার বিকালে খুলনা বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভা থেকে দুই শ্রমিককে নিঃশর্ত মুক্তি, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন তাদের দাবির প্রতি ভ্রূক্ষেপ করেনি। যে কারণে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অভ্যন্তরীণ সব রুট এবং ঢাকার সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি যশোরের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ ঢাকার সঙ্গে পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। রাজশাহী বিভাগের বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা ধর্মঘটে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।উল্লেখ্য, সোমবার রাতে গাবতলী থেকে সোহাগ পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাস বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি ফরিদপুরে পৌঁছলে ওই বাসে ডাকাতি হয়। এরপর বাসের চালক সরাসরি গাড়ি মধুখালী থানায় গিয়ে যাত্রীদের নিয়ে থানায় মামলা করতে যান।কিন্তু থানার ওসি মামলা না নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিনি চালক আয়নাল ও চেকার রবিউল ইসলামকে আটক করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাসচালকরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালীতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর দাঙ্গা পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উভয়মুখী বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। তারা আটক শ্রমিকদের মুক্তি এবং ফরিদপুরের এসপি ও মধুখালী থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি জানান।এদিকে মধুখালী থানার ওসি দাবি করেছেন, যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাসচালককে আটক করা হয়েছে।