শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল চোরেরা! ।। মীরসরাইয়ে সেহরি খেয়ে এক পরিবারের ৮ জন অসুস্থ

মীরসরাইয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রথম রোজার সেহরি খেয়ে এক পরিবারের ৮জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের মধ্যম মুরাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থরা হলেন আজিম উদ্দিন (৩৫), মেহেরুন্নেছা (২০), সোনিয়া আক্তার (২২), আয়েশা আক্তার (৩২), আক্তারুন্নেছা (৬০), মরিয়ম বেগম (৯০), কামরুল হাসান (১৫) ও আনাছ আল হাসান (১২)। তাদের মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বৃদ্ধা আক্তারুন্নেছা ও মরিয়ম বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল রাত ১০টায়ও মরিয়ম বেগমের জ্ঞান ফিরেনি।

অসুস্থরা শেখ বাহার আলী চৌধুরী বাড়ির প্রবাসী হেলাল উদ্দিনের পরিবারের সদস্য। হেলাল মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আতাউর রহমানের ভগ্নিপতি। জানা যায়, চোরের দল চুরির সুবিধার জন্য সেহরির খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। সেই খাবার খেয়ে তারা অসুস্থ হয়।

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. জোবায়দুল হুদা বলেন, অসুস্থরা মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে আক্রান্ত। তবে বিষাক্ত কিছুর লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি জানান, এদের মধ্যে ৬ জন আপাতত আশংকামুক্ত, তবে ওরা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমাতে পারে। বৃদ্ধা আক্তারুন্নেছা ও মরিয়ম বেগমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি।

গতকাল রাত ১০টায় প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর আক্তারুন্নেছার জ্ঞান ফিরে আসে। তবে ৯০ বছরের বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের জ্ঞান ফিরেনি। চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা শংকামুক্ত নয়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সুস্থ সদস্য গৃহিণী নারগিছ আক্তার (৩৫) জানান, রাত ৩টা পর সবাই সেহরি খেয়ে আবার ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমার শাশুড়ি নামাজ পড়তে গিয়ে সেখানে ঢলে পড়ে। অন্যরা এখানে সেখানে ঢলে পড়ছে দেখে আমাদের আশংকা হয়। এসময় পাশের ঘরের লোকজনকে বিষয়টি জানাই। বাড়ির বাইরে অচেনা লোকজনের আনাগোনাও চোখে পড়ে। এক পর্যায়ে তাড়া করলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।