সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

খবরিকার চিকিৎসাসেবায় সুস্থ হয়ে উঠলো জেবি স্কুল ছাত্র তুহিন

ইমাম হোসাইন3333 :: মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ জেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শেখ জাভেদ তুহিন। বাবা নাছির উদ্দিন সিএনজি চালাতো। সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করার পর দুই ভাই তুহিন ও জিহান এর জীবনে নেমে আসে অনিশ্চয়তা। কিন্তু মা নাছিমা আক্তার ছাড়েনি হাল। ৫ম শ্রেণিতে পড়া শিশুপুত্রের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে আর ছোট ছেলের ভরণপোষন চালাতে আসে পাশের বাসায় রান্নার কাজ নেয়। দিনভর রান্না করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে স্কুলের পেছনে একটি ছোট্ট ভাড়া ঘর নিয়ে শুরু করে জীবন যুদ্ধ। তার দুর্দশা দেখে জে বি স্কুল কর্তৃপ তুহিনের পড়ালিখার খরচ মওকুফ করে দেয়। কিন্তু এরি মধ্যে নেমে আসে আরেক দূর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে ভেঙ্গে গেল জেবি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়া তুহিনের বাম হাত। কনুই সহ হাতের হাড্ডি ফেটে যাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু মা নাছিমা আক্তার কার কাছে যাবে ? নিজের ও দুই সন্তানের ভরণপোষনই করছেন যেখানে বাসায় কাজ করে। অবশেষে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক বাবু সুভাষ সরকারের উদ্যোগে শিকগণ শিশু তুহিনের প্রতি বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। সবাই মিলে তুহিনের চিকিৎসার জন্য ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে দেন। মা নাছিমা তুহিনকে নিয়ে যায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে কিছুদিন রেখে চিকিৎসার পর শেষ হয়ে যায় টাকা। তবুও নিজের যা আছে সম্বল তাও বিক্রি করে লাধিক টাকা খরচ করে ফিরে আসে আবার সেই ভাড়া বাসায়। ছেলে হাত সেই অবস্থাতেই ঝুলিয়ে রেখে শুরু করে জীবন যুদ্ধ। হাত ভালো না হোক বাঁচতে তো হবে ওদের? তুহিন ও ভাঙ্গা হাত নিয়ে পরীা দিয়েও ভালো ফলাফল করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উঠে। ডাক্তাররা নাছিমাকে জানিয়েছে আবার টাকা জোগাড় হলে ঢাকা নিয়ে যেতে। এরপর ওপারেশান করা হবে। এরি মধ্যে পাকি খবরিকায় এই রিপোর্ট ও প্রকাশিত হয়। মেধাবী শিশু তুহিন এর পাশে দাঁড়ায় এবার খবরিকা পরিবার। খবরিকার প্রধান সম্পাদক জনাব সোহাগ আরমান ও সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশ এর ব্যবস্থাপনায় শুরু হয় তুহিন এর চিকিৎসা সেবা প্রদান। প্রথমে মীরসরাই এর ইনসাফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাঃ বিশিষ্ট সার্জারী চিকিৎসক ডাঃ নুরুল মোমিন এর পরামর্শ নেয়া হয়। এরপর চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতাপালে অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনিসুর রহমান এর সার্জিক্যাল অপারেশান এর পর তুহিন এখন সুস্থ। তবুও ইতিমধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শে পুর্নাঙ্গ সুস্থতার জন্য বাইয়াহাটের থেরাপিষ্ট ডাঃ সেলিম এর ফিজিওথেরাপী সেন্টারে তুহিন দেয়া হচ্ছে ফিজিওথেরাপী।
গত ১ ডিসেম্বর জে বি স্কুলের পরীার হলে গিয়ে দেখা যায় এসময় পূর্বের শ্রেনীতে ভাঙ্গা হাত নিয়ে পরীা দিলে ও এবার তুহিন সুস্থ হাত নিয়েই পরীা দিচ্ছে। উপস্থিত শিক টুইঙ্কেল বড়ুয়া ও সাইফুল ইসলাম সহ খবরিকা টিমের সাথে ছিল খবরিকা সম্পাদক মাহবুব পলাশ, প্রধান সম্পাদক এর প্রতিনিধি মোমিনুল হক, খবরিকার নির্বাহী সম্পাদক রাজিব মজুমদার, প্রতিনিধি মেজবাহ উল আলম বাবুল, ইমাম হোসাইন প্রমুখ।