সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

কুইক রেন্টালের মেয়াদ বাড়লো আরও ৪ বছর

38429_f3

রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের মেয়াদ আরও চার বছর বাড়লো। এজন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) সংশোধন আইন ২০১৪-এর খসড়ায় সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহের জন্য ২০১০ সালে এই বিশেষ আইন করা হয়। দুই বছর পর এই আইনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। আগামী ১১ই অক্টোবর ওই আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও চার বছর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রকল্প নেয়ার জন্য ‘বিশেষ কমিটির’ মাধ্যমে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার বিধান রয়েছে এ আইনে। এর আওতায় সরকার স্বল্পসময়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ওয়েবসাইটে প্রচার চালিয়ে বা ই-মেইলে যোগাযোগ করে ‘আলোচনা ও দর-কষাকষির মাধ্যমে’ বিদ্যুৎ বা জ্বালানি প্রকল্পের জন্য চুক্তি করতে পারে। তিনি বলেন, গত চার বছরে সরকার এ আইনের আওতায় রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, চলমান প্ল্যান্টগুলোর মেরামত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ আইনটি খুবই কার্যকর হয়েছে। মন্ত্রিসভা এবার শুধু আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে, নতুন করে কোন বিধান সংযুক্ত করেনি। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রচলিত দরপত্র পদ্ধতির প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সংক্ষিপ্ত সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পগুলো অনুমোদন করার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে আইনটি করা হয়েছিল। সাধারণত দরপত্র পদ্ধতির পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়। পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে প্রকল্প বাস্তবায়নে এক থেকে দেড় বছর সময় কম লাগে। ওই সময় বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেড়ে গিয়েছিল। দিনের বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং হতো। ওই বিশেষ অবস্থায় দ্রুত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আইনটি করা হয়েছিল। তখন মনে করা হয়েছিল, প্রথম দুই বছর পরই প্রচলিত দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। ২০১২ সালে আইনটির মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। গতকাল আবার চার বছরের জন্য সময় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল আইনের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফ কাউন্সিল আইন-২০১৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক শাসন আমলের এ আইনটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করে কিছু ধারা সংশোধন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কোন সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি দেবে না। বার কাউন্সিলের মতো নার্সিং ডিগ্রি ব্যবহার করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দরকার হবে। আগে শুধু নার্সিং ছিল। এখন মিডওয়াইফারি যোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে কাউন্সিলের কমিটি হবে। সাত সদস্যের নির্বাহী কমিটির প্রধান হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব। তিনি বলেন, নতুন কোন প্রতিষ্ঠান যদি ডিগ্রি দেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অনুমোদন হবে। আইনে কাউন্সিলকে প্রবিধান তৈরির জন্য ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৪শে জুলাই ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত সাপটা বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। ২২-২৩শে জুলাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা যৌথ সমন্বয় কমিটির সভায় অংশ নেন। রাশিয়ার মস্কোয় ওই সভা হয়। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর রিপোর্ট মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।