মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

image_54956.khulna-1
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তারা অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায়। কলেজের মেইন গেট বন্ধ করে দিয়ে ওই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।আজ শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। ছাত্রলীগের মহানগর কমিটির সভাপতি দেবদুলাল বাড়ৈ ওরফে বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন ওরফে সুজন এবং তাঁদের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষের জন্য বহিরাগতদের দায়ী করেছেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল ও ছাত্রলীগের মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম হোসেনুজ্জামান সংঘর্ষের জন্য দেবদুলাল ও শাহজালালকে দায়ী করেছেন।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, রাসেলের সঙ্গে আসা বেশির ভাগই বহিরাগত ছিল। ফলে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তারা পিছু হটে। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের খুঁজে খুঁজে পেটাতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে রামদা, লাঠি, রড ও দেশীয় পাইপগান ছিল। তাদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল, নগর কমিটির নেতা সালাউদ্দিন, জয়দেব, শাকিল, শাফিন, রবিউল, রায়হানসহ ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের অনেকের মাথা ফেটে গেছে। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। আহত ব্যক্তিদের সবাইকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ গেলেও তাদের সামনেই সংঘর্ষ চলে।এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে যায়। মূলত মিছিল করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
উৎস- কালেরকন্ঠ