সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন কেরি

pic-22_199597

 

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে দায়িত্ব পালন করছে, এর প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের সাফল্য যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। গত ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি জন কেরির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সে সময় জন কেরি এসব কথা বলেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রিসভাকে জানান।মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না। জন কেরির সঙ্গে আলোচনার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় অনেকটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। এ সময় কেরি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের ব্যাপারে সব সময় উদ্বিগ্ন। আমেরিকা কখনো রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। সন্ত্রাস মোকাবিলায় যেকোনো কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র তার সহযোগিতা-সমর্থন দিয়ে যাবে বলে জন কেরি জানান।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মাহমুদ আলীর আলোচনা হয়েছে। জন কেরি মাহমুদ আলীকে জানিয়েছেন, এ ধরনের আসামিকে আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত দেওয়ার ব্যাপারটি জটিল। তিনি এ বিষয়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। মাহমুদ আলী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন।মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, জন কেরি ছাড়াও আরো কয়েকটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা মনে করে, এটি একটি সফল বৈঠক।মন্ত্রিসভায় ‘দি ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন আইন, ২০১৫’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৫’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অফিস স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমানে বোর্ডের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। নতুন আইনে চেয়ারম্যান হবেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। মন্ত্রী না থাকলে প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীরা যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।মন্ত্রিসভার অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রী আইনজীবী, তাঁদেরকে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দিকে লক্ষ রাখার নির্দেশ দেন।