শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

১৫১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

8

একতরফা আওয়ামী নির্বাচনে প্রায় দেড়শ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। শনিবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৫১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। যা স্বাধীনতার পর জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার নতুন রেকর্ড। এর আগে ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ৫৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।জানা গেছে, এসব প্রার্থীর বিপক্ষে মনোনয়ন জমা না দেয়া এবং প্রত্যাহারের কারনে  তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২৭, জাতীয় পার্টি ১৮, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১, জাসদ ৩টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে করতে যাচ্ছে সরকার।এর মধ্যে শুক্রবার ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুসহ ১০ জনকে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজুল কবির কাওসার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে পৌঁছে দেন বলে জানা গেছে।এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ঢাকার ৮টি আসনে মোট ২৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মোঃ জিল্লার রহমান। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেগুন বাগিচার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে এই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু করেন তিনি। ঢাকা-৪ আসনে আওলাদ হোসেনকে (স্বতন্ত্র) হাতি এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে (জাতীয় পার্টি) লাঙল প্রতীক দেয়া হয়।এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন বর্জনের জন্য দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply