বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

শেখ হাসিনা-এরশাদ সম্পর্কে টানাপোড়েন

bb

আসন ভাগাভাগি নিয়ে এবার টানাপোড়েন দেয়া দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। এই টানাপোড়েন আগামী নির্বাচনে এরশাদের অংশ নেয়া ও না নেয়ার বিষয়টি রয়েছে। এরশাদ বা জাপা তার কাঙ্খিত আসন পেলেই নির্বাচনে অংশ নেবে। কাঙ্খিত বা প্রত্যাশিত আসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পেলেই যেকোন ছোট-খাটো ইস্যু সামনে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন এরশাদ। জাতীয় পার্টির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।ওই সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে হাসিনা-এরশাদের মধ্যে সিট ভাগাভাগি নিয়ে অলিখিত সমঝোতা হয়। এরশাদ হাসিনার কাছে ৮০টি আসন দাবি করে এক পর্যায় নিজ থেকে ৭০টি আসনের প্রস্তাব দেন। তবে আওয়ামী লীগ কোনভাবেই ৪০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। সেকথা তারা জাপাকে জানিয়েও দিয়েছে। কিন্তু এরশাদ সুযোগ বুঝে অনড় অবস্থানে। তিনিও আওয়ামী লীগকে জানিয়েছে ৬৯টি আসন দিলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে না। জাতীয় পার্টি ও এরশাদের এমন কঠোর অবস্থানের কারণে বিপাকে পড়েছে আ.লীগ।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য ডিনিউজকে জানান, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রতি রাখেনি আওয়ামী লীগ। আমাদের আসন সংখ্যা কমিয়ে মাত্র ৩০টিতে আনা হলেও আমরা ২৭টি আসনে জয়লাভ করেছিলাম। আমরা কোনভাবেই আর এ ধরনের সমস্যায় পরতে চাই না।’ জাতীয় পার্টির এক কেন্দ্রীয় নেতাকে ৮০টি সিট চওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ডিনিউজকে বলেন, ‘এখন অন্য সবগুলি দলের চেয়ে জাতীয় পার্টির অবস্থান বা জনসমর্থন অনেক বেশী।’ এরশাদের একাধিক ঘনিষ্ঠসূত্র জানায়, ‘পূর্বের ভুল হতে শিক্ষানিয়ে কৌশালগত কারণে আমরা ২৯৯টি আসনে প্রার্থী চুড়ান্ত করে রেখেছি। সময়মত আপনারা আমাদের কৌশালের কার্যকারিতা দেখতে পাবেন। প্রয়োজন মনে করলে আমরা নিজেরাই আলাদাভাবে নির্বাচনে যাবো।’অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী সূত্র থেকে জানা গেছে, এই মুহুর্তে জাতীয় পার্টির সাথে সরকার কোন রকম চালাকি করলে বা পূর্বের মতো কোনো অবস্থা তৈরি করলে জোট থেকে বেড়িয়ে যাবেন তারা। যার প্রমাণ মিলেছে শুক্রবার দেওয়া এরশাদের বক্তব্যে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু পবিবেশ সৃষ্টি ছাড়া নির্বাচন অসম্ভব।তিনি আরো বলেন, সন্দেহ আছে প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না? আমার দলের প্রার্থীদের বোমা আগুনের মুখে ঠেলে দিতে পারি না। জনগণ যে ধরনের নির্বাচন চায়-সে ধরনের পরিবেশ তৈরি করুন। তা হলেই কেবল জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।এসময় প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মনোনয়ন দাখিল করবেন। কিন্তু আমার নির্দেশের অপেক্ষা করবেন। আমি নির্দেশ দিলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন।’তবে একাধিক সূত্র বলছে, এরশাদ কোন দলের সাথে অথবা কিভাবে নির্বাচন করবে কি-না তা শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করলে বলা মুশকিল। কেননা তিনি প্রতি মহুর্তে তার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেন।

উৎস-ডিনিউজবিডি

Leave a Reply