মাহবুব পলাশ, মীরসরাই :: অবশেষে শেখ আতা জেলায়, মীরসরাই উপজেলার বৈঠা যাচ্ছে দুই জাহাঙ্গিরের হাতেই । সময় অপরিবর্তিত থাকলে ৭ বছর পর অবশেষে আগামী ১৬ নভেম্বর দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা আওয়ামীলীগের এবারের ত্রীবার্ষিক সম্মেলন।
ইতিমধ্যে উল্লেখিত দুই পদে সভাপতি পদে সম্ভাব্যগনের মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, বর্তমান সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ অন্যতম। সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ৪ নং ধূম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গির ভূঞা, ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ও ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছুফিয়ান বিপ্লব।
দীর্ঘ ৭ বছর পূর্বে মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেই উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। এবার আবার সেই ঐতিহাসিক মাঠেই কে হচ্ছেন আগামীর কান্ডারী তা এখন সর্বত্রই আলোচিত। বর্তমান সভাপতি নানাভাবে সফল বলেই তাঁকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে চান দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমানে চট্টগ্রামের অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আর সেক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির চৌধুরীকেই সভাপতির দায়িত্বে আসছেন বলে নিরানব্বই শতাংশ প্রায়। শতাংশের একই ধারাবাহিকতায় সেক্রেটারী পদে আসছেন ধূম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গির ভূঞা।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নিজ গ্রামের সন্তান হিসেবে তাঁর প্রতি আনুগত্যতা এবং এলাকার শিক্ষাসেবা ও সমাজসেবায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থরে আস্থাভাজন হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন জাহাঙ্গির ভূঞা। সভাপতি হিসেবে জাহাঙ্গির কবির তো পূর্ব থেকেই আছেন রুহেল ভাই এর বিশ্বস্থতার প্রতীক হয়ে। অনেকেরই মন্থব্য বর্তমান সময়ে সাবেক মন্ত্রী শারীরিক সক্ষমতা থাকতেই পুত্র মাহবুবুর রহমান রুহেলকে মাঠে অবস্থান করার লক্ষ্য নিয়েই নেতৃত্বে শুদ্ধাভিযান করছেন। তবে এই বিষয়ে বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবারের দলের তৃণমূলের কমিটি থেকে উপজেলা ও জেলায় যে বিষয়টি সর্বাধিক প্রাধান্য পাচ্ছে তা হলো প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে সফল করা। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও মাদক নিমূল এবং গনমুখী নেতৃত্ব নির্বাচনে অটল অবিচল। আর তাঁর নির্দেশনাই প্রতিফলিত হচ্ছে এবারের কাউন্সিলে। তিনি আরো বলেন সর্বস্তরেরর নেতাকর্মীর দৃষ্টিতে কোন নেতা কেমন, কে গনমুখি, কে সকলের সমন্বয় করতে সক্ষম এসব বিষয় ও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে ।
এরপর ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মুখে সম্মেলনের দিনের শেষ ঘোষনার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত নৌকার বৈঠা কার হাতে যাচ্ছে সেটিই সকলের কাছে আলোচনার মূল বিষয় এখন। শেষ খবরের মতে অবশেষে অবশেষে নৌকার বৈঠা যাচ্ছে শেখ আতারই হাতে, উপজেলার বৈঠা দুই জাহাঙ্গির এর হাতে। সর্বোপরী একই সূত্রে মাহবুবুর রহমান রুহেলই মীরসরাই এর আগামীর কান্ডারী। নৌকার মূল মাঝি।