নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
প্রজনন মৌসুমে ৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধের কারণে জেলেদের মৎস আহরণ করতে না পারায় অন্য মাছ ধরার ন্যুন্যতম অনুমতি সহ জীবিন ধারনের স্বাভাবিক উপায়ের দাবীতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তাদের সমস্যা সমাধানের দাবীতে আসে জেলেরা। ৯ জুন রবিবার দুপুর ১২টায় জেলেরা মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসে এসব দাবী জানায়। এ সময় জেলেদের সকল কথা শুনে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান, মায়ানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহম্মেদ নিজামী, মঘাদিয়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নুপুর ধর, ও কল্যান চক্রবর্তী, মীরসরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নয়ন কান্তি ধুম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
শতাধিক জেলে এসময় জানায় তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা। জেলেরা বলে আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চলে। প্রায় আড়াই মাস যদি মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে আমাদের উপজেলার ডোমখালী, সাহেরখালী, মির্জানগর, জয়নগর, হাসিমনগর, মঘাদিয়া, বামনসুন্দর, বাঁশখালী, পাতাকোট এলাকার প্রায় ৫ হাজার পরিবার না খেয়ে থাকতে হবে। এতোগুলো পরিবারের জীবন ধারনের জন্য আমরা শুধুমাত্র সন্ধীপ চ্যানেলে মাছ ধরার অনুমতি প্রার্থনা করছি। আর এর প্রত্যুত্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুম থাকার কারণে সরকার আপনাদেরকে গভীর সাগরে গিয়ে ৬৫ দিন ইলিশ আহরণ করার জন্য নিষেধ করেছেন। কিন্তু আপনারা জেলা প্রশাসক এর কাছে আমার মাধ্যমে একটি আবেদন প্রদান করলে ইলিশ প্রজনন এলাকার বাহিরে সন্দীপ চ্যানেলের জোনেই মাছ ধরার অনুমতির চেষ্টা করার আশ্বাস দেন। এতে জেলেরা জীবিকা নির্বাহের আশ্বাস পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রদান করে স্ব স্ব এলাকায় ফিরে যায় ।