নিজস্ব প্রতিনধি
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে আল-বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের, ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং হত্যাসহ ১১টি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। আদালত বলেছে, বিদেশে পলাতক এই দুই আসামি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে।দেশের স্বাধীনতার সূর্য যখন হাতের মুঠোয়, ঠিক তখনি জাতিকে মেধাশূণ্য করতে নীল নকশা তৈরি করে ঘাতকরা। ঢাকার খ্যাতিমান লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসকদের অপহরণ আর হত্যার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেয় জামাতের সেসময়কার ছাত্র সংগঠন-ইসলামী ছাত্রসংঘের দুই নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন।নারকীয় সেই হত্যাকান্ডের ৪২ বছর পর রায় এলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড ও চিফ এক্সকিউটিভের বিরুদ্ধে।রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-দুই ১৫৪ পৃষ্ঠার এই রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। দুই ঘন্টা ধরে এই রায়ে তুলে ধরা হয় পলাতক দুই বদর নেতার নেতৃত্বে কিভাবে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন দেশের ১৮ জন সূর্যসন্তান।