শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে গরু বেপারীর বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ


মীরসরাই প্রতিনিধি :: মীসরাইয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে আত্মীয়ের জন্য গরু ক্রয়ের পর নিজের নামে রশিদ কাটায় দিদারুল আলম নামে জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. শাহীন, মীরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মোরশেদ রাসেল ও এনামুল হক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্য করে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে লালমনিহাটের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ির হাট থেকে গরু কেনার জন্য গত ১৫ মার্চ আমার ভগ্নিপতি মফিজউদ্দিন ভাসানি থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে আমার তালতো (বোনের দেবর) দিদারুল আলমকে পাঠায়। দিদার সেখানে দালালের মাধ্যমে ৬টি গরু ক্রয়ের জন্য ঠিক করে আমাকে টাকা পাঠাতে বলে। গত ১৮ মার্চ আমি ইসলামী ব্যাংকে মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং -৩১৪৭২ তে ১০ লক্ষ ১৯ হাজার ৫’শ টাকা তার কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে আমি ব্যাংক থেকে আরো ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সে টাকা নিয়ে রংপুরে যাই। এ সময় গত ২৩ মার্চ দিদারের সাথে রংপুরে দেখা হলে সে আমাকে জানায়, গত ২১ মার্চ ৫টি ও ২৩ মার্চ ১টি সহ মোট ৬টি গরু সে ক্রয় করেছে। আমি গরু ক্রয়ের রশিদ দেখতে চাইলে সে আমাকে বলে তার নিজের নামে গরু ক্রয় করেছে; ঠিকানা আমার ভগ্নিপতির বাড়ি মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় দিয়েছে। পরের দিন গত ২৪ মার্চ ও ২৫ মার্চ তার কাছে থাকা অবশিষ্ট টাকা ও আমার কাছে থাকা টাকা একত্র করে একই দালালের মাধ্যমে আরো ১৫টি গরু ক্রয় করি। পরবর্তীতে গত ২৫ মার্চ সর্বমোট ২১টি গরু নিয়ে মীরসরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। পরের দিন ২৬ মার্চ দুপুর প্রায় ৩টায় খইয়াছড়া ইউনিয়নের খইয়াছড়া স্কুল মাঠে গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে আমার ভগ্নিপতি মফিজ উদ্দিন ভাষানির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে আমি আর দিদার চট্টগ্রাম শহরে চলে যাই। শহরে গিয়ে আমি দিদারের কাছে গরু ক্রয়ের রশিদ ও টাকার হিসেব চাইলে সে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গত ১২ এপ্রিল দিদার উল্টো আমাদেরি বিরুদ্ধে গরু চুরির বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়। পরবর্তীতে মীরসরাই থানা থেকে এস আই মাকসুদ ঘটনার তদন্তে গেলে আমার ভগ্নিপতির ভাই মীরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন মীরসরাই থানার ওসিকে দিদারুল আলমের প্রতারণার বিষয়টি বলেন। গত ১৯ এপ্রিল থানায় সালিশি বৈঠকে দিদার ৫ টি গরু ক্রয়ের কার্বন রশিদ দেখালেও টাকার উৎসের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। সে একবার বলে তার বোন থেকে নিয়েছে আরেক বার বলে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়েছে। পরবর্তীতে তার উক্ত বক্তব্যের কোন সত্যতা পাননি পুলিশ। এসময় মীরসরাই থানার ওসি মুজিবুর রহমান ৬টি গরু প্রফেসর নাসির উদ্দিনের জিম্মায় দিয়ে দেন এবং দিদারুল আলমকে গরু ক্রয় করার জন্য টাকা কোথা থেকে এনেছেন তার প্রমাণ দেখাতে বলেন। এমন মিথ্যাচার ও প্রতারনার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মীরসরাই কলেজের উপাধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন।