শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ১৬ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

শাহবাগে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বিএনপি ও জামায়াতের ১৬ শীর্ষ নেতাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন এসআই সোহেল রানা। শাহবাগ থানায় দায়ের করা ঐ মামলায় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে উস্কানি ও ইন্ধনদাতা হিসেবে। এছাড়া বিহঙ্গ পরিবহনে পেট্রল বোমা নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাতনামা তিনজনকে করা হয়েছে প্রধান আসামি।শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি মহিদুল ইসলাম হিরু, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রওশন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।লোমহর্ষক ওই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে শাহবাগ থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৫৮। দণ্ডবিধির ৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪/১০৯/১১৪/৪৩৫/৪২৭ ধারা এবং বিস্ফোরক আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় তাৎক্ষণিকভাবে একটি সাধারণ ডায়েরি করে পুলিশ। শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এমএ জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার যুগান্তরকে জানান, হত্যার উদ্দেশ্যে নিরীহ বাসযাত্রীদের পুড়িয়ে দগ্ধ করার জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিহঙ্গ পরিবহনের ওই গাড়িতে অগ্নিসংযোগে ১৮ নারী-পুরুষ দগ্ধ হন। ওই ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে নাহিদ ও রবিন নামে দু’জনের। বাকি ১৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। বাকিদের অবস্থায়ও আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply