সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে কয়েক দফায় শেষ হবে জুন মাসে। এ লক্ষ্যে তড়িঘরি করে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণকরছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইসির পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য পল্লী উন্নয়ন ও স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয়ের কাছে তালিকা চাওয়া হয়। এরি প্রেক্ষিতে পল্লী উন্নয়ন ও স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব শরীফা অহমেদ স্বাক্ষরিত এক স্বরক লিপিতে ৪৫৫৩ টি ইউনিয়ন পরিষদ এর তালিকাসহ সংশ্লিষ্ঠ তথ্য পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভকে বলেন, আমাদের হাতে সময় কম উপজেলা নির্বাচনের পর পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কমিশন।
কবে থেকে নির্বাচন শুরু হবে জানতে চাইলে ইসির সচি সরাসরি কোন তারিখ না বললেও তিনি জানান, ২০১৬ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি ইউপি নির্বাচন দিবে ইসি। তবে কয় ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ ব্যপারে এখন সিদ্ধান্ত নেয়নি সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ মার্চ থেকে জুলাই মাসে পূর্ণ হবে। সে ক্ষেত্রে জুনের আগে ইউপি নির্বাচন শেষ করতে চায় কমিশন। এদিকে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলায় নতুন ভোটাররা ডিসেম্বরে উপজেলা নির্বাচনে ভোট না দিতে পারলেও ইউপি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কারণ ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। বর্তমান কমিশনের অধীনে পৌরসভা- ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া আর কোনো বড় ধরনের নির্বাচন বাকি নেই। এই দুটি স্থানীয় নির্বাচনের জন্য চলমান বাজেটে নির্বাচন খাতে ৩২১ কোটি ৪৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।