বিএনপির পাঁচ নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দু’দফা শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম। িবিএনপির ওই পাঁচ নেতা হচ্ছেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, এমকে আনোয়ার এমপি ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের এ জামিন বাতিল ও রিমান্ড আদেশের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঘণ্টাখানেক মুলতবি থাকার পর গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বিএনপি নেতাদের রিমান্ড ও জামিন শুনানি ফের শুরু হয়।
প্রয়োজনীয় নথি মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে আনার জন্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বেলা পৌনে ১১টার দিকে শুনানি সাময়িকভাবে মুলতবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুল্লাহ আবু আসামিদের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। এর পরে আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জানান, দুটি মামলার একটির নথি তার হাতে নেই। এটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে অন্য একটি মামলার শুনানিতে রয়েছে। এ সময় আসামিপক্ষ থেকে নথিটি মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সিএমএম আদালতে আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য শুরু করে বলেন, দুটি মামলার শুনানি একসঙ্গে হবে। কারণ মামলা দুটির অভিযোগ একই ধরনের। মওদুদ আরও বলেন, এ মামলায় কিছু নেই। আমাদের অপমান করার জন্য, রাজনীতিবিদদের অপমান করার জন্যই এ মামলা আনা হয়েছে। জেলা পিপি খন্দকার আবদুল মান্নান মওদুদের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করলে আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও হট্টগোল শুরু করলে ম্যাজিস্ট্রেট নথিটি আনার অনুমিত দিয়ে বেলা পৌনে ১১টার সময় এজলাস থেকে নেমে যান।
গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মতিঝিল থানার পৃথক ২ মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ ৫ নেতার রিমান্ড শুনানি শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়।
এর আগে প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আদালতে আনা হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টায় বাকি চারজনকে আদালতে আনা হয়।
টুকুর ২০ দিনের রিমান্ড : এদিকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ছাত্রবিষয়ক সহ-সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে ৫ মামলায় ৪ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক।
রমনা থানার চারটি ও শাহবাগ থানার দুটি মামলার পৃথক তদন্ত কর্মকর্তারা টুকুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে মোট ৬০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন। এর মধ্যে শাহবাগ থানার একটি মামলায় রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নাকচ করেন আদালত। উল্লিখিত মামলাগুলোতে টুকু এজাহারনামীয় আসামি।
প্রয়োজনীয় নথি মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে আনার জন্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বেলা পৌনে ১১টার দিকে শুনানি সাময়িকভাবে মুলতবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুল্লাহ আবু আসামিদের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। এর পরে আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জানান, দুটি মামলার একটির নথি তার হাতে নেই। এটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে অন্য একটি মামলার শুনানিতে রয়েছে। এ সময় আসামিপক্ষ থেকে নথিটি মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সিএমএম আদালতে আনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য শুরু করে বলেন, দুটি মামলার শুনানি একসঙ্গে হবে। কারণ মামলা দুটির অভিযোগ একই ধরনের। মওদুদ আরও বলেন, এ মামলায় কিছু নেই। আমাদের অপমান করার জন্য, রাজনীতিবিদদের অপমান করার জন্যই এ মামলা আনা হয়েছে। জেলা পিপি খন্দকার আবদুল মান্নান মওদুদের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করলে আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও হট্টগোল শুরু করলে ম্যাজিস্ট্রেট নথিটি আনার অনুমিত দিয়ে বেলা পৌনে ১১টার সময় এজলাস থেকে নেমে যান।
গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মতিঝিল থানার পৃথক ২ মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ ৫ নেতার রিমান্ড শুনানি শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়।
এর আগে প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আদালতে আনা হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টায় বাকি চারজনকে আদালতে আনা হয়।
টুকুর ২০ দিনের রিমান্ড : এদিকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ছাত্রবিষয়ক সহ-সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে ৫ মামলায় ৪ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক।
রমনা থানার চারটি ও শাহবাগ থানার দুটি মামলার পৃথক তদন্ত কর্মকর্তারা টুকুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে মোট ৬০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন। এর মধ্যে শাহবাগ থানার একটি মামলায় রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নাকচ করেন আদালত। উল্লিখিত মামলাগুলোতে টুকু এজাহারনামীয় আসামি।