রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা

aa

যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি অতিমর্যাদা সম্পন্ন দিন। ইরান, লেবানন ও ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্জ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। ১৩৭৫ বছর আগে হিজরি ৬১ সালে এই দিনে কারবালা প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্ব ইতিহাসের বিয়োগান্তক ঘটনা। হিজরি নববর্ষের প্রথম মাস মহররমের ৯ তারিখ দিবাগত রাত থেকে আশুরা উদযাপন শুরু হয়।বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপি কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এ উপলক্ষে ঢাকার হুসেনী দালানের ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়।পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্র অফিসসমূহে ছুটি থাকবে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দিনটিকে পালনের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিয়া সম্প্রদায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।লাখ লাখ শোকার্ত মুসলমান শোক পালন করছেন ইরাকের পবিত্র কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আবুল ফাজল আব্বাস (আ.)’র মাজারের কাছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কারবালায় শোক-সমাবেশে জনগণ ও জিয়ারতকারীদের ভিড় অনেক বেশি বেড়েছে বলে জানা গেছে। কারবালায় কয়েক মিলিয়ন জিয়ারতকারী ও শোক-প্রকাশকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান নারী ও পুরুষ । শোক প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা দানের জন্য কারবালা ও তার আশপাশের আকাশে সর্বক্ষণ টহল দিচ্ছে কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টার।বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে আজ ভারতের অসমেও পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় মহররম শোভা যাত্রা বের করা হয় দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি জেলায়। জেলার মোট ১৪টি অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ তাজিয়া মিছিল নিয়ে বেলা ১২টার দিকে শহরে প্রবেশ করে।ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে এদিনটি বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত। তবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে ৬১ হিজরিতে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হওয়ার পর থেকে এদিনটি মুসলমানদের মধ্যে একটি শোকাবহ দিন হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। এই শোকাবহ ঘটনাকে স্মরণ করতে বিশ্বের প্রত্যেকটি মুসলিম দেশে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করার শপথ নেন মুসলমানরা। শিয়া সম্প্রদায় ইমাম হোসাইন (রা.) স্মরণে তাজিয়া মিছিল বের করে। কারবালার শোকবহ ঘটনার কথা স্মরণ করে তারা বুক ও পিঠ চাপড়ে রক্ত ঝরিয়ে দিনটি পালন করে।

Leave a Reply