বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

টি ২০ বিশ্বকাপের টিকিট কেউ খুশি কেউ হতাশ

14

টি ২০ বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার থেকে। অগ্রাণী ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের মোট ৯৪টি শাখায় কাল এই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। টিকিট কেনার জন্য শুধু লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন সংগ্রহের মাধ্যমে একটি ম্যাচের জন্য আগ্রহী ব্যক্তি নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট পাবেন। ঢাকায় একটি শাখায় এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০টি টিকিট কিনতে পেরেছেন। তবে জেলা শহরে অনেক জায়গায় সর্বাধিক ৪টি টিকিট সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছেন দর্শকরা। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিু ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। টিকিট বিক্রি চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একটি ম্যাচের জন্য যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে টিকিট কিনতে পারবেন।মতিঝিল এনসিসি ব্যাংক শাখায় ভোর পাঁচটায় ছেলের জন্য টিকিট কিনতে এসেছিলেন রমা রানী। ছোট ছেলে আগের দিন এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বলে মাকে ডেকে আনেন তিনি। পরে রমা রানী এসে লাইনে দাঁড়ান। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরও একসময় তার টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এনসিসি ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা যখন সাড়ে ১২টার দিকে এসে একটা গ্যারান্টি টোকেন ধরিয়ে দিলেন তখন হাসি ফিরল মুখে। দুই ছেলের জন্য তিনি কিনেছেন ১০টি টিকিট। ছেলেদের খুশি করতে পেরে নিজেই সবচেয়ে বেশি খুশি রমা রানী তিনি টিকিট পেলেও হাজার খানেক দর্শক দু’দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও ২০১৪ টি ২০ বিশ্বকাপের টিকিট পাননি। মতিঝিল শাখায় মহিলারা টোকেন পেয়েছেন মাত্র ১০টি। আর ছেলেরা পেয়েছেন ৪০টা। প্রথম দিনে এই অফিস থেকে টোকেন ছাড়া হয়েছে ৫০টা। একটা টোকেনে ১০টি টিকিট নেয়া যাবে। একটা ম্যাচের জন্য সর্বোচ্চ দুটি টিকিট পাবেন ওই ব্যক্তি। সে হিসাবে এখান থেকে বিক্রি হয়েছে ৫০০ টিকিট। তবে এখনই টিকিট দেয়া হচ্ছে না। প্রতিটি টিকিটের পরিবর্তে একটা নিশ্চয়তা টিকিট দেয়া হচ্ছে। ১৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের জন্য শনিবার থেকে অগ্রণী ও এনসিসি ব্যাংকের ৯৪টি শাখায় টি ২০ বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ম্যাচ দেখার জন্য দর্শকদের চাহিদা বেশি।টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে মতিঝিল শাখায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার দর্শক। এর মধ্য থেকেও স্থানীয় বখাটেদের কারণে লাইন ছেড়ে দিতে হয় সাধারণ দর্শকদের। ঢাকায় এনসিসি ব্যাংকের টিকিট বিক্রির ১১টি শাখা ও অগ্রণী ব্যাংকের দুটি শাখায় ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। দু’দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও অধিকাংশ দর্শক টিকিট পাননি। দর্শকদের হাহাকারের সামনে নিরুপায় ব্যাংক কর্মকর্তারা। মতিঝিল শাখায় ম্যানেজার সৈয়দ মুহাম্মদ নেসার যুগান্তরকে বলেন, ‘টিকিটের চাহিদা ব্যাপক, কিন্তু আমাদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী টিকিট নেই। আমাদের ব্যাংকে টিকিটি বিক্রি হলেও এটা নিয়ন্ত্রণ করছে বিসিবি অনুমোদিত আউটসোর্সিং কোম্পানি। তাই আমরা এ ব্যাপারে দায়বদ্ধ নই।’বিবিএর ছাত্রী নূপুর আক্তার, ধনিয়া কলেজের ছাত্র পিয়াস আহম্মেদ টিকিটের টোকেন পেয়ে যেমন খুশি হয়েছিলেন তেমনি দু’দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট না পেয়ে হতাশ অরুণ, সানজিদ, শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্ররা। টিকিটের গ্যারান্টি দেয়া কাউন্টারে থাকা অনিক বলেন, ‘আসলে আমাদের হাতে তো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টিকিট। আমরা কী করব।’ সাধারণ দর্শকদের জন্য টিকিট ছাড়া হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।

উৎস-যুগান্তর

Leave a Reply