দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দৃশ্যপটের বাইরে রেখেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। ‘শান্তির জন্য পরিবর্তন-পরিবর্তনের লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি’ ঘোষিত ইশহারের মূল শ্লোগান।বৃহস্পতিবার রাজধানী হোটেল সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।ইশতেহারে বলা হয় জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলে দেশের ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রাখবে, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস অবিচল রাখার জন্য সংবিধান সংশোধন করা হবে।ইশতেহারে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পরিবর্তন এনে এককেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করা হবে। দেশকে আর্থিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হবে। এছাড়া দেশের সকল স্বীকৃত মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জমদের সম্মানী ও ভাতা প্রদান করা হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ইসলাম, যুগ্ন মহাসচিব লিয়াকত হোসেন, সেলিম উদ্দীন প্রমুখ।আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরশাদের সম্মতিতেই নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করা হয়েছে। এর প্রতিটি শব্দই তার (এরশাদ) দেয়া।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে নির্বাচন করছি, এর অর্থ হলো নির্বাচনে ‘জাতীয় পার্টি’র সমর্থন আছে এবং আমাদের মাঝে কোনো বিদ্রোহী গ্রুপ নেই।মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের অনুপস্থিত কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম জানান, তারা দুজনই নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি জানান, এরশাদ সিএমএইচ-এ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী রওশন এরশাদ ‘স্বাস্থ্যগত’ কারণে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেননি বলে ।
তিনি বলেন, সিএমএইচে যাওয়ার পর এরশাদ সাহেব রওশন এরশাদকে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন। পার্টির মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই।
তিনি বলেন, সিএমএইচে যাওয়ার পর এরশাদ সাহেব রওশন এরশাদকে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন। পার্টির মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই।