জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সোমবারও অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। তার গুলশানের বাসা ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান করছে। বাসার সামনে একটি অত্যাধুনিক রেকার, জলকামান রাখা হয়েছে। এছাড়া রাস্তা অবরোধ করে বালুভর্তি ৫টি ট্রাকও যথাস্থানে রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বাসার ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ভেতর থেকেও কাউকে বের হতেও দেখা যায়নি। পুরোপুরি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বাসাটি। গ্রেপ্তারের ভয়ে বাসার আশপাশেও যাচ্ছেন না কোনো নেতাকর্মী। এ ব্যাপারে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলছেন না। বাসার সামনের পরিস্থিতি রোববারের তুলনায় বেশি থমথমে।রোববার মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি পালনের জন্য খালেদা বাসা থেকে বের হলেও পুলিশের বাধার মুখে মূল গেট থেকেই ফিরে যান তিনি। পরে বাসার ভেতরে প্রাঙ্গণে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। এ সময় তিনি সোমবারও কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের অবস্থানও আগের দিনের মতোই অব্যাহত আছে।রোববার খুব সকালে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে ৮ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাসার মূল গেটের সামনে দুই স্তরে পুলিশের নারী ও পুরুষ সদস্যরা সারি বেঁধে অবস্থান নেয়। পুলিশের ডিসি এডিসিসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তারাই অবস্থান নেন সেখানে।এদিকে খালেদার বাসার সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টির জন্য সেখানে ৫টি বালু বোঝাই ট্রাক আজও ফেলে রাখা হয়েছে। ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ‘আমাদের ভাড়া করে আনা হয়েছে এখানে অবস্থান করার জন্য।’কার নির্দেশে এসেছেন এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসেছি। কর্তৃপক্ষ কে জানতে চাইলে বলেন, ‘উপর মহলের নির্দেশে।’নিরাপত্তার কথা বলে শনিবার রাত ৮টা থেকে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়ির দু’পাশে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়ার প্রটোকলও সরিয়ে দেয়া হয় বাড়ির সামনে থেকে।