দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণভবনে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচিত সরকার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমাল ও শান্তি নিশ্চিত করা। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবিহনীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে পুনরায় কাযক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া সহিংসতায় আহত- নিহতদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নেয়া হবে। এবং সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় আসুন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে আমি বিশ্বাস না। বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয়। আমি ওনাকে (খালেদা জিয়া) ডেকেছি, উনি আসেননি। উনি তো এ-কূল ও-কূল দু-কূল হারিয়ে বসে আছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ স্বতষ্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে কম ভোট পড়েছে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যতটুকু ভোট দিয়েছে ততটুকুই যথেষ্ট। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা হাততালি দেন। তিনি বলেন, ‘যতোক্ষণ জঙ্গীবাদী জামায়াত তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবে ততোক্ষণ তারা সুষ্ঠু চিন্তা করবে পারবে না। আগে তাদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। তাহলে আলোচনার একটা সুষ্ঠু পরিবেশ হতে পারে।তবে আলোচনা কি বিষয়ে হবে বা আগাম নির্বাচন দেয়া হবে কি না সে বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী।
উৎস- যুগান্তর