অবরোধ ডাকার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বন্ধ রেখেছেন মোবাইল ফোন, অনেকে অবস্থান করছেন বাসস্থানের বাইরে। বিএনপি বলছে, নেতারা আড়ালে চলে গেলেও দলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন, দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। অবরোধের ঘোষনার পর আর প্রকাশ্য দেখা যায়নি মির্জা ফখরুলকে। সেদিনের পর থেকে দলীয় কার্যালয়েও আসেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। ২৫ নভেম্বর রাতে ১৮ দলের অবরোধের ঘোষণার পরপরই আটক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে আড়ালে চলে যান দলের সিনিয়র নেতারা। কোনো কোনো নেতার বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে কাউকে বাসায় পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন অনেকে। সিনিয়র নেতাদের মতো গা ঢাকা দিয়েছেন দলের মধ্যম সারির নেতারাও।১৮ দলের ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতাদের মত মাঠে দেখা যায়নি ১৮ দলীয় জোটের নেতাদেরও। নয়া পল্টনের দলীয় কার্যলয়ে সার্বক্ষনিক অবস্থান যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর। তিনি জানান, পুলিশের দমন পীড়নের কারণে নেতারা সাময়িকভাবে দূরে রয়েছেন।যতই দমন পীড়ন চালানো হোক, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।