বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কি অবরুদ্ধ করা হয়েছে? দলীয় নেতাকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের মাঝে এ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে। আজ কাউকেই বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বাসায় প্রবেশ করতে না দেয়ায় এ গুঞ্জন আরো প্রকট হয়ে উঠছে।গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা ঢাকামুখী অভিযাত্রার ঘোষণার পর পরই তার গুলশানের বাসভবন ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। রাস্তার উভয় পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যান ও জন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মিডিয়া কর্মী ছাড়া অন্য কাউকে ওই রোড দিয়ে যাতায়াত করতে দেয়া হচ্ছে না। এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির সামনে পুলিশের তাড়া খেয়ে সরে পড়লেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক। বেলা সাড়ে ১২টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের ৮৯নং বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় জয়নুল আবদিনের গাড়ি। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ। ফারুক গাড়ি থেকে নামতেই তাকে ঘিরে ধরে পুলিশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এ সময় ফের গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। দ্রুত গাড়িটি ওই এলাকা ত্যাগ করে।এছাড়া সোয়া ১টার দিকে বাসার সামনে থেকে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল নেতা অভি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ১ ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মূল গেটসহ আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। খালেদা জিয়ার বাসভবন দৃশ্যত অবরুদ্ধ।পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার নূরে আলম জানান, জয়নাল আবদিন ফারুক এখানে এসেছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে আবার গাড়িতে উঠে গেছেন। কেন তিনি এখানে এসেছেন তা জানতেই তার কাছে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি গাড়ি দাঁড় না করিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন।তিনি জানান, বিরোধী দলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি। তার নিরাপত্তার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার কাছে সংবাদ কর্মীরা জানতে চান, তাহলে বাসায় যাতায়াতে বাধা দেয়া হচ্ছে কেন। এ প্রশ্নের জবাবে নূরে আলম জানান, কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। তবে কেউ যেতে চাইলে অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।