শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দাদা নাতি (দুই ) : সোনা মিয়া

দু: শ্চিন্তায় রাত্রে নাতির ঘুম হয় নাই,
ভোর সকালে দাদার বাড়িতে হাজির। দাদা ফজরের নামাজ পড়ে তখনও ঘুমাচ্ছে।
নাতি এসে দাদাকে ডেকে তুললেন দাদা উঠে হাত মুখ দুয়ে নাতিকে নিয়ে নাস্তা করতে বসলেন।
নাতি নাস্তা খেতে চাচ্ছে না, দাদা জোর করে একটু খাইয়ে দিলেন দাদা নাতিকে জিগ্যেস করলেন তোমার কি হয়েছে নাতি বলে আমার মন ভালো নেই।
তখন দাদা ব’লে কেন, নাতির কোন উত্তর নাই।
তখন দাদা ব’লে চল আজকে পাহাড়ের দিকে যাবো,
তখন নাতি বলে ওখানে কি আছে, দাদা ব’লে মন ভালো করার ঔষধ আছে।
দাদা নাতি রওয়ানা দিলে দাদার পরনে লুঙ্গী নাতির পরনে পেন্ট, দাদা নাতিকে বল্লো লুঙ্গী পরে আসতে, নাতি বলে দাদা তুমি একেবারে বোকা আমরা ঘুরতে যাবো লুঙ্গী কেন , আমার একটা সন্মান আছেনা।
তখন দাদা আর কিছু বলেনা, দাদা নাতি পাহাড়ের কিছুটা ভিতরে ঢুকল তখন একটা সরু রাস্তা পেলো এবং রাস্তাটা পিছলা ছিলো, তখন দাদা লুঙ্গীটা গোছমারি নিলো, নাতি তো পেন্ট তাই চোট করার কোন সুযোগ হলো না, দাদা নাতি পাহাড়ের পাশ দরি হাঁটছে। আর এক সময় নাতি পা পিছলে পড়ে, প্রায়ই তিরিশ হাত চলে যায়। এবং নাতির পেন্ট টা চিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে মানিবেগ টা একটু দুরে গিয়ে পড়ে গেলো, সেখানে ছিলো একটা বানর, তখন বানর টা মানিব্যাগ নিয়ে গাছে উঠে যায়।
এটা দেখে নাতির কি যে কান্না, তখন দাদা বলে তুই কাঁদছিস কেন। নাতি বলে আমার মানিব্যাগ, দাদা বলে আমি তোকে ভালো দেখে একটা মানিব্যাগ কিনে দেবো তখন নাতির কান্না আরও বেড়ে গেলো।
দাদা বলে তুই কাঁধছিস কেন আমায় সব খুলে বল।
তখন নিরুপায় হয়ে দাদাকে বলে, দাদা আমাদের পাশের বাড়ির ঝর্ণা আছে না আমি তাকে খুব ভালোবাসি আজকে ঝরনা কে দেখতে আসবে তাই আমার রাত্রে ঘুম হয় নাই। এখন আমার মানিব্যাগে ঝর্ণার একটা ছবি ছিল সেটাও তো বাঁদর টা নিয়ে গেল। এখন আমি কি করি ? তখন দাদা বলে আমি দেখি কি করা যায়, তখন দাদা বানরটা যেখানে আছে সেখানে গেল। দাদা উপায় বুদ্ধি কিছু পাচ্ছিল না সেখানে কিছু পাতা ছিলো দাদা পাতাগুলা একটা ঝটলা বেদে বাদরের দিকে মারলো বাদর সেগুলো আবার দাদাকে মেরে দিল। দাদা ভাবছে কি করা যায়। তখন দাদার মাথায় সুন্দর একটা টুপী ছিলো দাদা টুপী টা বানরকে মেরে দিলো, তখন বানর টুপী ধরতে গিয়ে হাত ফসকে মানি ব্যাগটা পড়ে গেল। তখন দাদা নাতি চলে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিলো। নাতির পেন্ট যেবাবে ছিঁড়েছে নাতির আসার কোন সুযোগ নাই। তখন দাদা পাহাড়ের ওখান থেকে ছোট ছোট লতা নিয়ে নাতির পেন্ট টা বেড়াই দিলো, তখন দাদা নাতি কে, আসার পথে বলল দেখ আমি তোকে তোর প্রেমিকার বাড়ির রাস্তা বরাবর চিত করে শুইয়ে দেব এবং সেখানে বুকের উপরে ওর ছবিটা রেখে দেবো, তখন যেই কথা সেই কাজ। দাদা নাতিকে চিত করে সোয়াই একটু দুরে গেলো ঠিক তখনই ঝর্ণাকে দেখার জন্য বাড়িতে লোক আসতেছেন। ঝর্ণার বর পক্ষ নাতিকে দেখে দাড়িয়ে গেলো, ভাবলো লোক টা কে, এবং বুকের উপর দেখলো ঝর্ণার ছবি।
তখন ঝর্ণার বাড়ির লোকজন মেহমানদেরকে আগাইয়া নিতে আসছিলো, তখন নাতির দাদা নাতির কাছে এসে হাজির হয়ে হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগলো, তখন ঝর্নার বর পক্ষের লোকজন বলে আপনার কি হয়েছে।
তখন দাদা ব’লে এটা আমার নাতি, ঝর্নার সাথে দীর্ঘদিনের ভালোবাসা, আজকে ঝর্ণাকে দেখতে আসবে শুনে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো ভাগ্যিস পেন্টটা আত্মহত্যা করেছে আমার নাতি টা এখনো আছে। এইসব দেখে তখন ঝর্নারর বর পক্ষের লোকজন চলে গেলো।
আর ঝর্ণার বাবা ও ভাইয়েরা নাতি কে বাড়িতে নিয়ে ভালো করে দুয়ে মুছে শুভ কাজটা সেরে নিলো। আমার দাওয়াত টা পরে হবে বলেছে। নাতির একটা গতি হলো দেখে আমি ও বেজায় খুশি আজ। (চলবে )
সোনা মিয়া, কবি, ছড়াকার ও গল্পকার।