দশম সংসদ নির্বচনকে ঘিরে সহিংস ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি জামায়াত-শিবির নেতাদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে রংপুর পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামিদের নাশকতার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত সাত দিনে উপজেলা জামায়াতের আমির, তিনজন সেক্রেটারিসহ ২০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের আমির গোলাম রব্বানী, তারাগঞ্জের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান বাবুল, পীরগঞ্জের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান মুন্সি, মহানগর শিবিরের প্রচার সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক ও মিঠাপুকুর উপজেলা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান পায়েল। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) সূত্রে জানা গেছে, দশম সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটকেন্দ্রে হামলা, অগি্নসংযোগ, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাঙ্ ছিনতাই, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর হামলা এবং যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় ২০টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ৫৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ হাজার জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী আসামি। তখন থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এদিকে দশম সংসদ নির্বাচনের দিন জামায়াত-শিবিরের হামলায় রংপুরের ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু ১২ পরিবার নতুন বাড়ি পেলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে টিনশেড পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছে কাউনিয়া উপজেলায় ৯টি এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩টি।
উৎস- বাংলাদেশ প্রতিদিন