শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আত্মজীবনী লিখবেন মাশরাফি

masharafebg20160118083403
খবরিকা ডেস্ক: কিংবদন্তিরা নিজেদের জীবন উন্মুক্ত করে দেন। তাদের চলাফেরা, তাদের অতীত, তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সবার সামনে নিয়ে আসেন। লক্ষ্য একটাই, তাদের সম্পর্কে মানুষকে জানানো, মানুষকে বোঝানো। জীবনের আসল অর্থ কী, তা অনেকেই তাতে খুঁজে পান। ব্যর্থরা নতুন করে জেগে ওঠার প্রেরণা পান।

ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার তার ক্যারিয়ার শেষে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আত্মজীবনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বরপুত্র ব্রায়ান লারা, অস্ট্রেলিয়ার দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহও আত্মজীবনী লিখেছেন। ভারতের আরেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারও এ তালিকায় আছেন।

টেন্ডুলকার, লারা, ওয়াহ, গাভাস্কার ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকা, বড় আদর্শ। তাদের চেয়ে বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মুর্তজা কম কিসের! বাংলাদেশের উজ্জ্বল এ নক্ষত্র বহু মানুষের আদর্শ। তার আত্মবিশ্বাস, অনুপ্রেরণায় এখনো বহু ক্রিকেটার জাতীয় দলকে ‘সেবা’ দিয়ে যাচ্ছেন।

দুই পায়ে সাতটি অস্ত্রোপচারের পরও মাশরাফি দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন। নি:সন্দেহে ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম বোলার মাশরাফি, যিনি তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই হাজারো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবুও বল হাতে এখনো ২২ গজ মাতাচ্ছেন।

সেই মাশরাফি নিজের ক্যারিয়ার শেষে আত্মজীবনী লিখবেন বলে জানিয়েছেন। মাশরাফি-ভক্ত ও ক্রিকেটপ্রেমিদের জন্য এ এক বিশাল খবর। সোমবার মাশরাফিকে নিয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের লেখা বইটির নাম ‘মাশরাফি’।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘আমারও ইচ্ছে ও পরিকল্পনা আছে আত্মজীবনী লেখার। এখনো প্রক্রিয়া শুরু করিনি। তবে তা বিক্রির উদ্দেশ্য থাকবে না।’

আত্মজীবনী লেখার কারণ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘আমি এমন কোনো সুপারস্টার হয়ে যাইনি যে আমার আত্মজীবনী লিখতে হবে। তবে আমি জীবনে যে কঠিন মুহূর্ত দেখেছি, তা পৃথিবীর অনেক বড় সুপারস্টারও দেখেনি। আমি চাই বাংলাদেশের উঠতি ক্রিকেটাররা ওই মুহূর্তগুলো জানুক। তাহলে অনেক কিছু শিখতে পারবে, অনেক কিছু জানতে পারবে।’

মাশরাফি বিন মুর্তজার জীবন উপন্যাসের মতোই ঘটনাবহুল ও রোমাঞ্চকর। যে কোনো পাঠকের জন্য সে এক দারুন সুপাঠ্য হয়ে ওঠার কথা। সেই মাশরাফির জীবন নিয়ে প্রকাশিত হল বই। তার নাম – ‘মাশরাফি’। লিখেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।

সোমবার পর্দা উঠলো `মাশরাফি`র। খুলনার সিটি ইন হোটেলে সকাল ১১টায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে এবং মাশরাফির বাবা-মা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাশরাফির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল। এ ছাড়া জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনসহ সাবেক ক্রিকেটাররা অংশ নেন অনুষ্ঠানে। ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রনির সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানটি একটু ভিন্ন ভঙ্গিতে, অনেকটাই ঘরোয়া ভঙ্গিতে আয়োজন করা হয়।

আত্মজীবনী লেখা প্রসঙ্গ উক্ত অনুষ্ঠানেই মাশারাফি বাক্ত করেন।