আলোচিত বৃক্ষমানব (ট্রি-ম্যান) খুলনার পাইকগাছার আবুল হোসেনের প্রথম অপারেশন করা হয়েছে আজ শনিবার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে বেলা ১১টায় আবুলের বৃদ্ধাসহ দুটি আঙ্গুলে অপারেশন করেছেন চিকিৎসকরা।
আবুল বলেন, ‘ভালো হয়ে মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করাবো। সে লেখাপড়া শিখে বড় হবে। এটাই আমার ইচ্ছা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন উনি (আবুল)। অপারেশন করার মতো টাকা ছিল না। আজ মিডিয়া ও সরকারের সহায়তায় ফ্রি চিকিৎসা করাতে পারছি। আপনারা না থাকলে এ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারতাম না। আমার আজ খুব ভালো লাগছে, যে উনি (আবুল) সুস্থ হয়ে উঠবেন। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। উনি যেন সুস্থ হয়ে উঠেন সবাই এই দোয়াই করবেন।’
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সদরের ৫নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামের বাসিন্দা মানিক বাজনদারের ছেলে আবুল হোসেন। ২০০৫ সালে তার হাতে পায়ে আঁচিলের মত গোটা দেখা দেয়। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। কয়েক বছরের মধ্যেই হাতের তালুতে ও পায়ে ধীরে ধীরে গাছের শ্বাসমূলের মত গজাতে থাকে। দুই হাতের তালু ও ১০ আঙ্গুল ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।
হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে আবুলের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানরা এগিয়ে আসলেও তা ছিল সীমিত। খুলনায় কলকাতার ডাক্তারসহ অনেক কবিরাজ দেখিয়েও লাভ হয়নি আবুলের। পরবর্তীতে আবুলের সার্বিক সহায়তায় এগিয়ে আসেন এসএটিভির খুলনা প্রতিনিধি সাংবাদিক সুনীল দাস, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারি ও চট্টগ্রামের চিকিৎসক ডা. শরফুদ্দিন। আবুলের দেখভালের জন্য এগিয়ে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের মাস্টার্স শেষ করা ছাত্র নিয়াজ মাহমুদ রনি। এরপর থেকে অনেকেই আবুলের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।