শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আম আদমিদের জয়

3

 

আস্থা ভোটে জয় পেল আম আদমি পার্টি। আম আদমি পার্টির ২৮ এবং কংগ্রেসের ৮, সব মিলিয়ে সরকারের হাতে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন।
বিজেপির ৩১ জন বিধায়ক আম আদমি সরকারের বিপক্ষে ভোট দেয়। এদিকে আম আদমি সরকার মানুষের স্বার্থে কাজ করে গেলে কংগ্রেস পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক অরবিন্দ সিং লাভলি। দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেসের সমর্থন নেয়ায় আম আদমি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন। ২ জানুয়ারি সকাল থেকেই নজর ছিল দিল্লি বিধানসভার দিকে। এদিনই অগ্নিপরীক্ষা ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। অধিবেশন শুরু হতেই টানটান উত্তেজনা। বেলা দুটো থেকেই শুরু হয় আস্থা ভোট বিতর্ক। প্রথমেই বক্তব্য রাখেন আপ বিধায়ক মণীশ সিসোদিয়া। আপকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিজেপি বিধায়ক হর্ষবর্ধন। কংগ্রেসের বিরোধিতা করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ক্ষমতায় এসেছে এএপি। সরকার গড়তে গিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেসের হাত ধরেছেন কেজরিওয়াল। ফলে এএপি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি বিধায়ক হর্ষবর্ধন।নজর কেড়েছে এএপি : অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভারতের দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে চমকপ্রদ অভিষেকের মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে পুরো জাতির নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্রই আলোচনায় এএপি। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এএপির আবেদন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে চারদিক থেকে দলীয় তহবিলে অনুদান জমা পড়ছে। দলে দলে যোগ দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। করপোরেট জগতের বড় কর্তারা লোভনীয় চাকরি ছেড়ে ভিড়ছেন এএপিতে।বেঙ্গালুরুভিত্তিক ভারতের বহুজাতিক করপোরেট প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের পর্ষদ সদস্য ভি বালাকৃষ্ণ গত মাসে তার চাকরি ছেড়েছেন। তাকে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বিবেচনা করা হতো। বুধবার তার কাছ থেকে ঘোষণা এসেছে, এএপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। হার্ভার্ড-শিক্ষিত মুম্বাইয়ে রয়েল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডের প্রধান মিরা সান্যাল এএপিতে যোগ দিতে চাকরি ছেড়েছেন।ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি অধরেশ শাস্ত্রী পশ্চিম ভারতে অ্যাপলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তার পদ ছেড়েছেন এএপিতে যোগ দিতে। এর পাশাপাশি এএপির তহবিলে পড়ছে অনুদান। বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত কেবল অনলাইনে দলটি প্রায় ৩৮ লাখ রুপি সংগ্রহ করেছে। অনলাইনের মাধ্যমে এক দিনে এএপির এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর বাইরে এএপিকে এক দিনে শান্তি ভূষণ নামের একজন একাই এক কোটি রুপি ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক শুভাকাক্সক্ষী ৫০ লাখ রুপি অনুদান দিয়েছেন। দিল্লি নির্বাচনের আগে এএপি প্রতিদিন গড়ে ছয়-সাত লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছিল। লক্ষ্য অনুযায়ী ২০ কোটি রুপি সংগৃহীত তহবিলে অনুদান গ্রহণ বন্ধ করে দেয় এএপি।২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণ দেয়ার পর গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে আবার নতুন করে তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে এএপি। এরপর থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১৭ লাখ রুপি করে সংগ্রহ করছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। দলটির স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে সারা দেশ থেকে দলটিতে প্রায় তিন লাখ স্বেচ্ছাসেবক যোগ দিয়েছেন।আর এক লাখেরও বেশি মানুষ হয়েছেন দলীয় সদস্য। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সদস্যপদ গ্রহণের ফি ১০ রুপি। ১৮ বছরের নিচে কেউ এএপির সদস্য হতে পারবেন না। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তারও এএপির সদস্য হতে পারবেন না। এএপির এই উত্থানের বিষয়টি ভারতের জাতীয়-পর্যায়ের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাদের দৃষ্টি এড়ায়নি। কেউ এএপির প্রশংসা করছেন। কেউ সমালোচনায় মুখর।আর কেউ-বা সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পানির পর নির্বাচনী প্রতিশ্র“তি পূরণের দ্বিতীয় ধাপে বিদ্যুতের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে এএপি সরকার। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
উৎস- যুগান্তর

Leave a Reply