নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসি।
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও ঢাকার বাইরে এখনও এ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপজেলা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ নেওয়ার স্ক্যানার না থাকা।দুই বার টেন্ডার দিয়েও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় পিছিয়ে যায় স্ক্যানার কেনার কার্যক্রম।
এবার টেন্ডার প্রক্রিয়ার পাশপাশি উপজেলা কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই স্ক্যানার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।তাই এখন উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকাড বিতরণ কার্যক্রম চালু করতে আর কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।
ইতোমধ্যে স্ক্যানার মেশিন কেনার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।দেশের প্রায় ৫০০টি উপজেলার জন্য একটি চোখের আইরিশ নেওয়ার যন্ত্র এবং একটি দশ আঙুলের ছাপ নেওয়ার যন্ত্র মিলে এক সেট স্ক্যানার কিনতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এ টাকা সরকারি তহবিল থেকেই সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ১৭ লাখ। চলমান হালনাগাদ শেষে আরও যোগ হবে ৩৫ লাখ। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে যারা ভোটার হবেন তাদের স্মার্টকার্ড সরবরাহ করতে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।