শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে সন্দ্বীপে অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত

hsm

এইচ.এস.এম তারিফ:

আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কর্মসূচীর আওতায় দেশের সকল জেলাতে এমডিভি কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ২৬ এপ্রিল উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা অবহিতকরন সভা। অবহিতকরন সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মাঈন উদ্দিন মিশন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে ও স্বাস্থ্য সহকারী সুফিয়ান মানিকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, প্যানেল মেয়র মোবারক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর সিডিসি অধ্যাপক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। বক্তব্যে অধ্যাপক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, “অবহেলিত সন্দ্বীপ উপজেলায় সর্বোচ্ছ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিশ্চিতে রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা সর্বত্র সহযোগিতা করবে। এবং এ উপজেলা হতে মরনব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের জন্য কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। যা সন্দ্বীপবাসির আন্তরিক সহযোগিতায় সফলতার সাথে সমাপ্ত হবে।” বক্তব্যে এক পর্যায়ে তিনি সন্দ্বীপবাসির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে এবং রোগ নির্মূলে দুই লাখ কৃম‌িনাশক ট্যাবল‌েট, ২০০০ ম্যাল‌েরিয়া র‌োগ ন‌ির্নয় কীট সহ বেশ কিছু রোগ নির্নয়ের সরঞ্জাম প্রদানের ঘোষনা দেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ চন্দন কুমার সরকার ও ডাঃ সুদেব সরকার, ওসি তদন্ত বিজন কুমার বড়ুয়া, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক ইলিয়াস কামাল বাবু, রহিম মোহাম্মদ, রেডক্রিসেন্ট টিমলিডার এস এম বোরহান এবয স্বাস্থ্য সহকারী ইকবাল হোসেন প্রমুখ। এরপর মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। উল্ল্যেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ৩রা মে, ২০১৬ পর্যন্ত সন্দ্বীপ উপজেলায় ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম চলবে। এবং সন্দ্বীপ এলাকার কমপক্ষে ৭০ ভাগ কুকুরকে পর পর তিন রাউন্ড জলাতঙ্কের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হবে ফলে এলাকার কুকুরের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে যা এলাকার কুকুরের কামড়ে মানুষের জলাতঙ্কে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে ফেলবে বলে জানান সভাপতি ডাঃ ফজলুল করিম।