সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দাখিল

image_229253.salahuddin-ahmed

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ মামলার চার্জশিট স্থানীয় আদালতে দাখিল করল শিলং সদর থানা পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এম লামহারে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এল এম নম্বারির আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। শিলং সিটির পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম কালের কণ্ঠকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আদালত সূত্রের খবর, চার্জশিটে শুধুমাত্র অনুপ্রবেশেরই অভিযোগ এনেছে শিলং পুলিশ। আগামী ১০ জুন ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত শেষ হবে। সেদিনও আবার আদালতে তোলা হবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে।এর আগে, গত ২৭ মে একই আদালতে পুলিশ হেফাজতে নিগ্রেহসম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিনকে হাজির করা হয়। সেদিন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এম লামহারেই সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার কারণে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ না করে বরং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখতে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সে কারণেই বিচারক সালাহ উদ্দিনকে ১৪ দিনের বিচারক বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে সালাহ উদ্দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই নিগ্রেহমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।অন্যদিকে, ২৯ মে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের করা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের জন্য জামিন চেয়ে করা অন্য একটি আবেদনও খারিজ করে দিয়েছিল শিলং এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম শ্রেণির) এম খারশিং। সেদিনই সালাহ উদ্দিনের মামলার বাদী এম লামহারে বিচারকের কাছে চার্জশিট দেওয়ার জন্য তিন-চার দিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন।১২ মে শিলং এর সবচয়ে জনবহুল এবং বিত্তশালীদের জায়গা বলে পরিচিত গলফ গ্রাউন্ডে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেউ ফেলে রেখে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ওই বিএনপি নেতা নিজেই। যদিও তার বিরুদ্ধে সেদিনই শিলং সদর থানায় ভারতীয় আইনের ফরটিং ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা করেন মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এম লামহারে। ১২ তারিখ ভোরে তাকে শিলংয়ের একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখান থেকে পরদিন সকালেই সিভল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিনডী, হার্ট চর্ম রোগসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার দাবি করা হলে সেখান থেকে ১৯ মে সন্ধ্যায় ইষ্ট খাসি হিলস এর নর্থ ইষ্ট্রার্ণ ইন্দিরা গান্ধী রিজিওয়াল ইনস্টিটিউফ অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সেস বা নিগ্রেহমস এ ভর্তি করানো হয়। সেখানও তার অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ২৬ মে পর্যন্ত রেখে ছেড়ে দেন। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার ১৪ দিনেও পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও সুযোগ পায়নি। তবে ২৬ মে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে হাসপাতাল থেকে তাকে থানায় নিয়ে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরদিন শিলং এর চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তাকে তোলা হয়।