বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক :তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতির ক্ষেত্রেও আসছে বড় পরিবর্তন। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই করতে হয় ইন্টারনেটে। আর তাই ইন্টারনেটের গতি এই ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের গতি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আকামাই। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সমৃদ্ধ ১০টি দেশের তালিকা। মজার বিষয় হলো প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় স্থান পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
১০. ফিনল্যান্ড: ফিনল্যান্ডে ব্যবহারকারীরা গড়ে ইন্টারনেট গতি ১৭.৭ এমবিপিএস পেয়ে থাকেন।
৯. চেক প্রজাতন্ত্র: চেক প্রজাতন্ত্রে ইন্টারনেটের গতি গড়ে ১৭.৮ এমবিপিএস।
৮. নেদারল্যান্ড: গড়ে নেদারল্যান্ডসের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ১৭.৯ এমবিপিএস গতি পেয়ে থাকেন।
৭. জাপান: জাপানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গড়ে ১৮.২ এমবিপিএস গতি পেয়ে থাকেন।
৬. লাটভিয়া: দেশটিতে ইন্টারনেটের গতি গড়ে ১৮.৩ এমবিপিএস। যা বৈশ্বিক গড় তুলনায় প্রায় ৩ গুণ দ্রুততর।
৫. সুইজারল্যান্ড: সুইজারল্যান্ডে ইন্টারনেটের গতি গড়ে ১৮.৭ এমবিপিএস। আগের বছরের তুলনায় এই গতি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ শতাংশ।
৪. হংকং: হংকং হচ্ছে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা ২০১৩ সালেই ৬০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। বর্তমানে হংকংয়ের অধিবাসীরা গড়ে ১৯.৯ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট উপভোগের সুবিধা পান।
৩. সুইডেন: সুইডেনে ইন্টারনেটের গতি গড়ে ২০.৬ এমবিপিএস। আগের বছরের তুলনায় এই গতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২ শতাংশ।
২. নরওয়ে: নরওয়ের অধিবাসীরা ২১.৩ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে থাকেন। আগের বছরের তুলনায় দেশটিতে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৮ শতাংশ। এই স্পিডে সেকেন্ডই উচ্চ রেজল্যুশনের ৫টি ছবি আপলোড বা ডাউনলোড করা যায়।
১. দক্ষিণ কোরিয়া: বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা উপভোগ করতে পারছে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষজন। দেশটিতে ইন্টারনেটের গড় গতি ২৯ এমবিপিএস। যা বৈশ্বিক ইন্টারনেট গড় গতির চেয়ে ৪.৬ গুণ বেশি দ্রুততর। এই গতিতে ৫০০০এমবি এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও ডাউনলোডে সময় লাগে মাত্র আড়াই মিনিট।