রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মোবাইল ফোনের যতো ক্ষতিকর দিক

9630_mob

 

মোবাইল ফোন বিশ্বে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে সন্দেহ নেই। কার্যত এটা বিশ্বকে সঙ্কুচিত করে এনেছে। এর বদৌলতে পৃথিবীর মানুষ একে অপরের অনেক কাছে আসতে সক্ষম হয়েছে। ১৫০ বছর আগেও যেটা ছিল চিন্তার অতীত। সেলফোনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কিন্তু অন্য সব আবিস্কারের মত এটারও ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। আর মোবাইল আমাদের স্বাস্থের ওপর কিভাবে প্রভাব ফেলছে সেটা জানা জরুরি। আমরা দিনের লম্বা একটা সময় মোবাইল ব্যবহারের মধ্যে থাকি। আমাদের জানা প্রয়োজন, মোবাইল যখন ব্যবহৃত হচ্ছে না অর্থাৎ ফোন যখন স্ট্যান্ড-বাই মোডে আছে তখনও বেতার তরঙ্গ প্রবাহ অব্যাহত থাকে। এই বেতার তরঙ্গ হয় দুপ্রকারের। ১) আয়োনাইজিং এবং ২) নন-আয়োনাইজিং। নন আয়োনাইজিং অর্থাৎ আয়োনিত নয় এমন তরঙ্গ দুয়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী। মোবাইল ফোন থেকে এই তরঙ্গ নির্গমন হয়। এর অর্থ হলো, আমাদের মস্তিষ্কে এ তরঙ্গ প্রবাহিত হতে থাকে অবিরত। কয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং কিভাবে তা আমাদের স্বাস্থের ওপর প্রভাব ফেলে সেটা পরিস্কার হবে।
১) ছোট খাটো যে কোন ধরনের শব্দে কি আপনার মনে হয় যে ফোট ভাইব্রেট করছে? এবং আপনি কয়েক মিনিট পরপরই ফোন খুলে দেখে থাকেন। এমন যদি হয় তাহলে আপনি ‘রিংজাইটি’-তে ভুগছেন। সেলফোনে আসক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই টার্মটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২) এখনও প্রমানিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল ফোন ব্রেইন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। অবিরত তরঙ্গ প্রবাহে মস্তিষ্কের কোষসমূহের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে ধারণা করা হয়।
৩) মোবাইল ফোনের আরেকটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো মানসিক চাপ। মোবাইল ফোনের বদৌলতে ২৪ ঘন্টাই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে। কাজেই নিবিঘেœ একটু আরাম করার সুযোগ অনেকেরই মেলেনা।
৪) সর্বদা মোবাইল ফোনের সঙ্গে থাকার কারণে মনোসংযোগে ঘাটতি সৃষ্টি করে। বিশ্বের অনেক দেশে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা নিষিদ্ধ করার এটা অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় ফোনে কথা বললে শুধু নিজের জীবন নয় অন্যদের জীবনও ঝুকির মধ্যে পড়ে।
৫) মোবাইল ফোনের আরেকটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-এটা শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। কানের ভেতরের পর্দা খুবই সংবেদনশীল। কাজেই দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে যখন আমরা কথা বলি তখন কর্ণকুহরে অবিরাম প্রভাব পড়ে। যা কিনা আংশিক বধিরতা এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পূর্ন বধিরতার কারণ হতে পারে। সুস্থ, সবল ও দীর্ঘ জীবন যাপনের স্বার্থে মোবাইল ফোনের পরিমিত ব্যবহার করার পক্ষে মত বিশেষজ্ঞদের।