সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্দ জনতা, পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের মিরসরাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষের ঘর ভেঙ্গে তছনছ, আটক ৪

Exif_JPEG_420

নাছির উদ্দিন ঃ মিরসরাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতি পক্ষের বসতঘর ভেঙ্গে দিয়েছে অপর পক্ষ। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনার সময় উপস্থিত হওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। গতকাল ২৪ অক্টোবর সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময়  জোরারগঞ্জ থানাধীন জোরারগঞ্জ ইউনিয়ননের বিষুমিয়ারহাট এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের জৈনেক টুকু সওদাগর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ওই এলাকার কয়েকজন মো. হানিফ, মাসুদ, মো. ফারুক, শাহজাহান, লিলি বেগম ও ছালেহা বেগম প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বাড়ীর আলমগীর (৬৫)’র সাথে পাশের ঘরের জৈনেক সুলতানা আক্তারের সাথে ঘরের ভিটে মাটি ও অন্যান্য জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। সম্প্রতি এঘটনা নিয়ে থানায় এবং স্থানীয় ভাবে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক পর্যায়ে সুলতানার অংশের ঘরটি মেরামত করার জন্য ভাঙ্গে।  এ সুযোগে সেখানে  প্রায় ৫-৬ হাত জায়গায় আলমগীর নতুন করে ঘর নির্মাণ করেন । আর এই ঘর নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ চলে আসছিল। ঘটনার দিন স্থানীয় বারইয়ারহাট থেকে ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের নের্তৃত্বে ককেজন যুবক গিয়ে সুলতানার ঘরে অবস্থান করে। পরে দুপুর দেড়টার সময় মুসল্লিরা যখন নামাজে যায় এবং বাড়ীর মহিলারা নাওয়া খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সে সময় ফারুকের নের্তৃত্বে অজ্ঞাত যুবকরা ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে ঘোষনা দিলে মুহুর্তের মধ্যে শত শত নারী পুরুষ ওই বাড়ীতে জড়ো হতে থাকে। ঘটনার প্রেক্ষাপট দেখে ফারুক ও অন্যরা ফের সুলতানার ঘরে আশ্রয় নেয়। এদিকে ফারুকের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উত্তেজিত জনতা বাড়ীর দরজায় নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মকছুদ আহমদ চৌধূরী এবং ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ঘনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সান্তনা দিয়ে এবং উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে নিভ্রিত করে। পরে পুলিশ এসে সুলতানার ঘর থেকে ফারুক ও অন্যদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এবিষয়ে চেয়ারম্যান মকছুদ আহদম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ওই সময় পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিলো। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। তবে বিক্ষুব্দ জনতা একটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এবিষয়ে প্রতিপক্ষের সুলতানার সাথে কথা বলার জন্য তার ঘরে সন্ধ্যান করেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোন নাম্বারও পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, খবর পেয়ে আমি থানা থেকে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দুজন করে চারজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। উভয় পক্ষ বাদী হয়ে থানায় দুটি মামলা করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।