রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা নিয়ে উধাও আইডিয়াল মাল্টিপারপাস

mirsarai ctg pic, 11.04
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের কোটি টাকা নিয়ে কার্যালয় বন্ধ করে আতœগোপনে চলে গেছে সমবায় অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আমানতকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রায় ২০০৮ সাল থেকে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে বাংলাদেরশ সরকারের রেজিষ্ট্রেশন (গভ রেজি নং ৯৫১২/০৮) নিয়ে আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড নাম নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে সাইদুর রহমান চৌধূরী, মহিবুর রহমান চৌধূরী মিলন। এরপর তারা বাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। এছাড়াও স্থানীয়দের কাছ থেকে মাসিক সঞ্চয় হিসেবে মাসিক ১০০ থেকে ১ হাজার টাকার সঞ্চয় বই চালু করে তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে টাকা উত্তোলন করা হত। প্রতিষ্ঠানটির কর্তা ব্যক্তিরা ঠিকঠাক এত বছর কার্যক্রম চালালেও সম্প্রতি তাদের কার্যালয়টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এতে ব্যবসায়ী ও খুচরা আমানতকারীদের মনে সন্দেহ জাগে। তারা যোগাযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তাদের সাথে। এসময় প্রতিষ্ঠানটির হিসাবরক্ষক স্থানীয় ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকছুদ আহমদ চৌধুরীর ছোট ভাই মহিবুর রহমান চৌধুরী মিলন অসুস্থতার ভান করে বাড়ীতে বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানান। এতে আমানতকারীরা তাদের অর্থ ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নেন মিলন। এসময় তারা তাদের অর্থ ফেরৎ পাওয়ার জন্য বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রসার বডুয়াকে বিষয়টি জানালে তিনিও কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এদিকে ওই সংস্থার অপর দুই ব্যক্তির কাছে আমানতকারীরা ছুটে গেলে তারা জানান, সমস্ত টাকা হিসাব রক্ষক মিলনের কাছে। তিনি ওই টাকা আতœসাৎ করে সম্প্রতি অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। এদিকে আমানতকারীরা তাদের টাকা না পেয়ে ছুটে যান মিলনের ভাই এবং স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকছুদ আহমদ চৌধুরীর কাছে। এসময় তিনি আমানতকারীদের আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন এবং এতে তার úূর্ন সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান। এবিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মকছুদ আহমদ চৌধূরী জানান, ক্ষতিগ্রস্থরা বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। যেহেতু হিসাব রক্ষনকারী আমার ভাই তাই আমি চেয়েছিলাম টাকার পরিমান যদি কম হতো তাহলে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি পরিশোধ করতাম কিন্তু টাকার পারিমান বেশি হওয়ায় আমি তাদেরকে অপারগতা জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এবিষয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রসার কান্তি বডুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর কয়েকদফা চেষ্টা চালিয়েছি কিন্তু সে (মিলন) হঠাৎ করে উধাও হওয়ায় কিছু করতে পারিনি। এবিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত মহিবুর রহমান চৌধুরী মিলনের মুঠোফোনে কল করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে আমানতকারীদের তথ্যের সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী জয়নালেন ৯লক্ষ টাকা, লাতু মিয়ার ৬লক্ষ টাকা, ধীমান বডুয়ার ৫লক্ষ টাকা, মনির আহমেদ ও কমলা বেগমের ৫লক্ষ টাকা, ফার্নিচার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের ২লক্ষ টাকা, লোকমানের ১লক্ষ টাকা, বোনের বিয়ের জন্য রাখা বাদশা মিয়ার ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রায় কোটি টাকা আমানত এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী।