সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে একের পর এক ভরাট হচ্ছে পুকুর-দীঘি

রণজিত ধর:::

অদৃশ্য ক্ষমতা বলে মীরসরাই উপজেলা সদরে প্রশাসনের সামনেই সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট একের পর এক পুরোনা পুকুর-দীঘি ভরাট করেই যাচ্ছে। এইসব ভূমিদস্যু চক্রের দৃষ্টি যেখানে পড়ছে সেখানেই হার মানছে নিয়ম বিধিবিধান বা আইন। আর এখন মীরসরাই পৌর সদরেই পরিবেশ আইন অমান্য করে পুরনো একটি দীঘি ভরাট করার আয়োজন প্রায় চড়ান্তই। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মীরসরাই সদরের পুরনো দীঘিটি ভরাটের নানা আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। মীরসরাই পৌর সদরের কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় থাকা কয়েকজন জামায়াত নেতা এমন আইন অমান্য করছেন দৌর্দ- প্রতাপের সঙ্গে। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাগণ বলছেন, আমরা ওদের সঙ্গে আংশিক অংশের ব্যবসায় আছি, তবে ওদের বেআইনি কাজের সঙ্গে নেই। ইতোমধ্যে মীরসরাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি পুরোনো পুকুর ভরাট করেছে ভিন্ন ভিন্ন চক্র। অবশেষে মীরসরাইয়ের (বিএনপি থেকে নির্বাচিত) সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জিন্নাহ নিজে পা দিয়েছে উক্ত চক্রের ফাঁদে। কিন্তু তিনি বলছেন আমি জানি না। তবে জামায়াত নেতারা বলছেন আসলে উনিই জানেন, আমরা নয়।পরিবেশ অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পুকুর, দীঘিসহ যে কোন জলাশয় ভরাট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে ব্যবস্থার বিষয়ে কঠোর আইনগত প্রক্রিয়া রয়েছে পরিবেশ আইনে।অথচ ইতোমধ্যে মীরসরাইতে উষা ডেভেলপারস নামক সাবেক এমপির ভাগিনার একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মীরসরাই থানার সামনেই অনেক পুরোনো একটি বড় পুকুর ভরাট করে সেখানে প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির প্রক্রিয়া করেছে। এর পূর্বে ‘ওয়ান্ডার ল্যান্ড’ নামক মার্কেট নির্মান প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে মীরসরাই ডিগ্রি কলেজ গেইটে অবস্থিত একটি পুরনো পুকুর ভরাট করেছে। বর্তমানের উক্ত সিন্ডিকেট এর উদ্যোক্তা জামায়াত নেতা খায়রুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন মীরসরাইয়ের অন্তত ১০ একর এর একটি দীঘি ভরাট করে সেখানে প্লট বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। দীঘির মূল মালিক পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় ধর্মমন্ত্রী মাহফুজুল হক। তার মৃত্যুর পর তার সন্তান বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি এম এ জিন্নাহ ও তার ভাই বোনরা।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অবশেষে সাবেক এমপি জিন্নাহ ও তার ভাই বোনদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে জামায়াত নেতা খায়রুল ইসলাম। ওয়ান্ডার ল্যান্ডের পরিচালক খায়রুল ইসলাম ইতোমধ্যে উক্ত দীঘি ভরাট করার আগেই কয়েকজন ক্রেতার কাছে সাফ কবলায় বিক্রির জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বলে জানা যায়। তবে এই বিষয়ে এম এ জিন্নাহ বলেন ‘আমি তো ওদের দায়িত্ব দিয়েছি আমাদের ভাইবোনদের অংশ ভাগাভাগিতে সাহায্য করতে, আমার অংশে আমি মাছের চাষ করবো’। তার বক্তব্যে বিক্রির বিষয়টি তিনি অস্বিকার করলে ও খায়রুল ইসলাম বলেন উনি কি বলেছেন তা উনি জানেন, আবার ইতোমধ্যে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে সেখানে প্লট করার জন্য বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়েকজন ক্রেতা। ক্রেতাগণ আরও জানান আমরা তো খায়ের এর সঙ্গে কথা বলছি। তিনিই দায়িত্ব নিচ্ছেন রেজিস্ট্রি দেবার। এই বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভার মেয়র এম শাহজাহান বলেন, আমার কাছে এই দীঘি ভরাটের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে ওরা। আমি পরিবেশ ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ছাড়া অনুমতি দেয়া যাবে না বলে পৌর দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন ওদের সঙ্গে আমার ‘ওয়ান্ডার ল্যান্ড’ বহুতল মার্কেট এর বিষয় ছাড়া আর কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। তিনি আরো স্বীকার করেন উল্লেখিত জামায়াত নেতারা ইতোমধ্যে মারুফ ও বিভিন্ন রিয়েল এষ্টেট এর যেসব সিন্ডিকেট করেছে। ইতোমধ্যে মারুফ নামক সমিতি করে হাজার হাজার সদস্য থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ ও রয়েছে খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান মকবুল হোসেন সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে মীরসরাইয়ের ঢাকাস্থ বিশিষ্ট পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কারিতাসের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন ১৯৫১ সালের পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন মৎস উৎপাদনকারী পুকুর দীঘি পরিবেশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভরাট করা যাবে না। জীবন ধারনের জন্য পানি অপরিহার্য উপাদান। পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। মানুষের শরীরেও তিন চতুর্থাংশ জল। মানুষ, অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ সবকিছু পানির উপর নির্ভরশীল। পান করা ছাড়াও সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পানি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ জলভাগ হলেও ব্যবহার উপযোগী পানি অতি সামান্য। তাই ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস নদী, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় দূষণ ও ভরাট রোধ করে সংরক্ষণে রয়েছে নির্ধারিত নীতিমালা। পরিবেশ এর ছাড়পত্র ছাড়া পুকুর দীঘি ভরাট করার নিয়ম নেই কোনভাবেই।অদৃশ্য ক্ষমতা বলে মীরসরাই উপজেলা সদরে প্রশাসনের সামনেই সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট একের পর এক পুরোনা পুকুর-দীঘি ভরাট করেই যাচ্ছে। এইসব ভূমিদস্যু চক্রের দৃষ্টি যেখানে পড়ছে সেখানেই হার মানছে নিয়ম বিধিবিধান বা আইন। আর এখন মীরসরাই পৌর সদরেই পরিবেশ আইন অমান্য করে পুরনো একটি দীঘি ভরাট করার আয়োজন প্রায় চড়ান্তই। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মীরসরাই সদরের পুরনো দীঘিটি ভরাটের নানা আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। মীরসরাই পৌর সদরের কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় থাকা কয়েকজন জামায়াত নেতা এমন আইন অমান্য করছেন দৌর্দ- প্রতাপের সঙ্গে। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাগণ বলছেন, আমরা ওদের সঙ্গে আংশিক অংশের ব্যবসায় আছি, তবে ওদের বেআইনি কাজের সঙ্গে নেই। ইতোমধ্যে মীরসরাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি পুরোনো পুকুর ভরাট করেছে ভিন্ন ভিন্ন চক্র। অবশেষে মীরসরাইয়ের (বিএনপি থেকে নির্বাচিত) সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জিন্নাহ নিজে পা দিয়েছে উক্ত চক্রের ফাঁদে। কিন্তু তিনি বলছেন আমি জানি না। তবে জামায়াত নেতারা বলছেন আসলে উনিই জানেন, আমরা নয়।পরিবেশ অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পুকুর, দীঘিসহ যে কোন জলাশয় ভরাট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে ব্যবস্থার বিষয়ে কঠোর আইনগত প্রক্রিয়া রয়েছে পরিবেশ আইনে।অথচ ইতোমধ্যে মীরসরাইতে উষা ডেভেলপারস নামক সাবেক এমপির ভাগিনার একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মীরসরাই থানার সামনেই অনেক পুরোনো একটি বড় পুকুর ভরাট করে সেখানে প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির প্রক্রিয়া করেছে। এর পূর্বে ‘ওয়ান্ডার ল্যান্ড’ নামক মার্কেট নির্মান প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে মীরসরাই ডিগ্রি কলেজ গেইটে অবস্থিত একটি পুরনো পুকুর ভরাট করেছে। বর্তমানের উক্ত সিন্ডিকেট এর উদ্যোক্তা জামায়াত নেতা খায়রুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন মীরসরাইয়ের অন্তত ১০ একর এর একটি দীঘি ভরাট করে সেখানে প্লট বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। দীঘির মূল মালিক পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় ধর্মমন্ত্রী মাহফুজুল হক। তার মৃত্যুর পর তার সন্তান বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি এম এ জিন্নাহ ও তার ভাই বোনরা।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অবশেষে সাবেক এমপি জিন্নাহ ও তার ভাই বোনদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে জামায়াত নেতা খায়রুল ইসলাম। ওয়ান্ডার ল্যান্ডের পরিচালক খায়রুল ইসলাম ইতোমধ্যে উক্ত দীঘি ভরাট করার আগেই কয়েকজন ক্রেতার কাছে সাফ কবলায় বিক্রির জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বলে জানা যায়। তবে এই বিষয়ে এম এ জিন্নাহ বলেন ‘আমি তো ওদের দায়িত্ব দিয়েছি আমাদের ভাইবোনদের অংশ ভাগাভাগিতে সাহায্য করতে, আমার অংশে আমি মাছের চাষ করবো’। তার বক্তব্যে বিক্রির বিষয়টি তিনি অস্বিকার করলে ও খায়রুল ইসলাম বলেন উনি কি বলেছেন তা উনি জানেন, আবার ইতোমধ্যে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে সেখানে প্লট করার জন্য বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়েকজন ক্রেতা। ক্রেতাগণ আরও জানান আমরা তো খায়ের এর সঙ্গে কথা বলছি। তিনিই দায়িত্ব নিচ্ছেন রেজিস্ট্রি দেবার। এই বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভার মেয়র এম শাহজাহান বলেন, আমার কাছে এই দীঘি ভরাটের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে ওরা। আমি পরিবেশ ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ছাড়া অনুমতি দেয়া যাবে না বলে পৌর দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন ওদের সঙ্গে আমার ‘ওয়ান্ডার ল্যান্ড’ বহুতল মার্কেট এর বিষয় ছাড়া আর কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। তিনি আরো স্বীকার করেন উল্লেখিত জামায়াত নেতারা ইতোমধ্যে মারুফ ও বিভিন্ন রিয়েল এষ্টেট এর যেসব সিন্ডিকেট করেছে। ইতোমধ্যে মারুফ নামক সমিতি করে হাজার হাজার সদস্য থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ ও রয়েছে খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান মকবুল হোসেন সঙ্গে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে মীরসরাইয়ের ঢাকাস্থ বিশিষ্ট পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কারিতাসের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন ১৯৫১ সালের পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন মৎস উৎপাদনকারী পুকুর দীঘি পরিবেশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভরাট করা যাবে না। জীবন ধারনের জন্য পানি অপরিহার্য উপাদান। পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। মানুষের শরীরেও তিন চতুর্থাংশ জল। মানুষ, অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ সবকিছু পানির উপর নির্ভরশীল। পান করা ছাড়াও সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পানি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ জলভাগ হলেও ব্যবহার উপযোগী পানি অতি সামান্য। তাই ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস নদী, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় দূষণ ও ভরাট রোধ করে সংরক্ষণে রয়েছে নির্ধারিত নীতিমালা। পরিবেশ এর ছাড়পত্র ছাড়া পুকুর দীঘি ভরাট করার নিয়ম নেই কোনভাবেই।