রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মন্ত্রিপরিষদ থেকে মায়ার পদত্যাগ দাবি

image-3_101291

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় চাকরিচ্যুত র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদের আত্মীয় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।
একই সঙ্গে মন্ত্রী মায়ার ছেলে দিপু চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল, পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামকে সাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নূর হোসেনের পেছনে অনেক গডফাদার ছিল। একজন মন্ত্রীর জামাতা ও তার ছেলে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। মামলার তদন্তের কাজ ওই মন্ত্রী যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সেজন্য তার পদত্যাগ দাবি করছি। তাহলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। ওই মন্ত্রীর ছেলে দিপু চৌধুরী অনেক অপকর্ম করে বেরিয়েছে। তার মাধ্যমেই নূর হোসেনের টাকা র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে। তাকেও গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, ‘র‌্যাবের বিপদগামী কর্মকর্তা কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, এমএম রানা, হত্যায় জড়িত ছিল। সরকার তাদের চাকুরিচ্যুত করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে আনা হয়েছে। আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। তাদের ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো উচিত ছিল। সরকার যদি আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তাদের হত্যা মামলায় শ্যেন অ্যারেস্ট দেখানো উচিত। তবে আমরা হতাশ নই, আশাবাদী।’

নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে ব্যর্থ দাবি করে বক্তারা বলেন, মামলার এজাহারে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রশাসন এখনও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। এ হত্যা মামলা নিয়ে অন্য কিছু হলে আইনজীবীদের হাত থেকে আপনারা রক্ষা পাবেন না।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দেশ দিলেই বিচার পাওয়া সম্ভব। হত্যাকাণ্ডে জড়িত দিপু চৌধুরীও।’

তারা বাবা মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর দ্বারা তদন্তকাজে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে মায়া চৌধুরীকে পদত্যাগ করতে হবে। মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মায়া চৌধুরী মন্ত্রী সভায় থাকতে পারবেন না।’