সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ভূয়া চিকিৎসক শনাক্তকরণে অভিযান চলছে

naism_239081

ভূয়া চিকিৎসক সনাক্তকরণের অভিযান চলমান আছে এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর হাসপাতালে রোগীর লাশ আটকিয়ে চিকিৎসা প্রদান বাবদ অর্থ আদায়ের কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ভুয়া চিকিৎসক, ভুয়া ক্লিনিক-হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।জনসেবার নামে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো টাকা কামাইয়ের মেশিনে পরিণত হয়েছে- এম আবদুল লতিফের এ অভিযোগের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, নাসিং হোক ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ১৯৮২ সালে জারিকৃত একটি অর্ডিন্যান্স রয়েছে। ওই অর্ডিন্যান্সেই চিকিৎসা পরামর্শ ফি ধার্য করা আছে। কিন্তু আইনটি বেশ পুরনো। তাই এটি যুযোপযোগী করার লক্ষ্যে ‘বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আইন’ নামে আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।আবদুল মান্নানসহ আরো কয়েকজন সদস্যের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, ৬ হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগের ফলে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক সঙ্কট না থাকলেও এ্যানেসথেসিয়াসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে। আমরা চিকিৎসকদের ট্রেনিং দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। আর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সমস্যা সমাধানেরও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।একাধিক সংসদ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী এলাকার হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় একশ’ নতুন এ্যাম্বুলেন্স আনা হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে তা দ্রুত আনা সম্ভব হচ্ছে না। আপনারা (সংসদ সদস্য) সবাই অর্থমন্ত্রীকে বলুন, তিনি যেন দ্রুত এখানে বাজেট দেন। তাহলে কোন সংসদ সদস্য’র এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সের কোন অভাব থাকবে না।আরেক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দেশে সংক্রামক রোগের সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে। ক্যান্সারসহ অসংক্রামক রোগ হ্রাসের জন্য ও সরকার বর্তমানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ভেজাল ও কেমিক্যালযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণসহ ধূমপান, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবনে প্রতিরোধ এবং রোগ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জোরদার প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।এসময় মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের মার্চ থেকে মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তা ছাড়া গুল ও জর্দা জাতীয় ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য বাজারজাত করা যাবে না।এ সম্পর্কে দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য-গুল, জর্দা ইত্যাদির মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তা ছাপানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ১২ মার্চ বিধিমালাটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে ছাপাতে সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়েছে। গেজেট প্রকাশের এক বছর পর থেকে ছবিযুক্ত সতর্কবাণী ছাড়া কোনো তামাকজাত পণ্য বাজারে বিক্রি করা যাবে না।