রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বৈশাখেও দেখা নেই কালবৈশাখীর

image_75382.p1090883 (copy)

এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে দু-একটি নিম্নচাপ। এরমধ্যে একটি রূপ নিতে পারে ঘুর্ণিঝড়ে। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দু-তিন দিন বজ্রসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রসহ ঝড় এবং দেশের অন্যত্র তিন-চার দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হওয়ার কথা। নদ-নদীর প্রবাহ থাকবে স্বাভাবিক।’চলতি মাসের এমনই দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে। কিন্তু দৃশ্যতই ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত ছাড়া পুরো মাসজুড়েই চলছে মৃদূ থেকে মাঝারি মাপের তাপদহের ভোগান্তি। বৈশাখ মাসেও দেখা নেই কালবৈশাখীর, স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত তো দূরের কথা। উপরন্তু আবহাওয়া অফিস এখন বলছে, ‘ব্যতিক্রমী আবহাওয়ার’ কারণে এবার মাসজুড়েই দেশবাসীর দুর্ভোগ চলবে। ঝড়-বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমবে, শিগগিরই এমন সম্ভাবনাও নেই।আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই গ্রীষ্মে বেশ কিছুটা ‘ব্যতিক্রমী আবহাওয়া’ দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত প্রায় হচ্ছে না। কেননা, স্বাভাবিক দখিনা বাতাস এবার প্রবাহিত হচ্ছে না একেবারে। বঙ্গোপসাগর থেকেও বয়ে আসছে না জলীয় বাস্প। উড়িষ্যা অঞ্চলে সৃষ্টি হয়নি নম্নিচাপ। সব মিলিয়ে শিগগিরই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তিনি আরো বলেন, তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলে যেতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মে-জুনের দিকে প্রবাহিত হতে পারে মৌসুমী বায়ু। তখন বঙ্গোপসাগর থেকে বইবে আর্দ্র বাতাস। সে সময় ঝড়-বৃষ্টি হলে গুমট গরম কেটে যাবে।এদিকে, তীব্র গরমে নানান ভোগান্তির সঙ্গে বাড়ছে রোগ-বালাই। বিদ্যুৎ বিভ্রাট, মশার উৎপাত যোগ করেছে বাড়তি দুর্ভোগ। শিশুদের কষ্টই যেন সবচেয়ে বেশি। দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তাপদহে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে ভুগছে শিশুরা। হাসপাতালগুলোর শিশু ওয়ার্ডে বাড়ছে ক্রমেই রোগির ভিড়।অনেকে মনে করছেন পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংসের ফলে ঘটেছে এমন আবহাওয়া বিপর্যয়। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের মতে, ‘গরমের সময় গরম লাগারই কথা। কিন্তু যে মাত্রায় গরম সবার পাগলদশা করে দিচ্ছে, এটা স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক নয়। নদী শুকিয়ে যাবে, দূষণে বিষাক্ত হবে, নদী জলাশয় দখল হয়ে উঠবে অট্টালিকা, শালবনে করাত কল বসবে, উন্নয়নের নামে বৃক্ষনিধনে পাহাড়-বন উজাড় হবে, ইটের খোলায় ভরে যাবে বিল, উন্মুক্ত স্থান ভরে উঠবে কংক্রিটে। আর মানুষের জীবন স্বস্তিকর হবে, তা কি হয়?’ স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকে তিনি লিখেছেন এই প্রতিক্রিয়া।আবহাওয়ার বিভাগওয়ারি ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে বইবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপহদ। এটি অব্যহত থাকতে পারে। রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের আবহাওয়া থাকতে পারে ঢাকা বিভাগের অনুরূপ। চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একাধিক তাপদহ। খুলনা বিভাগের খুলনা ও কুষ্টিয়া এবং বরিশাল বিভাগের খেপুপাড়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপহদ।