এক দিকে পুলিশ ধর্মঘট। অন্য দিকে বিশ্বকাপের আগে ব্যাপক আর্থিক কারচুপির জন্য হাজতে গেলেন কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও গর্ভনর। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের ২২ দিন আগে জমজমাট ব্রাজিল। সরকারি দন্তরে ব্যাপক ধর পাকড় হয়েছে কুইয়াবাতে। সেখানকার স্টেডিয়ামের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অভিযোগ স্থানীয় সরকারি দপ্তরে ব্যাপক কারচুপির জন্য সময়মতো কাজ শেষ করা যায়নি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে ফেডারেল পুলিশ। ওখানকার মেয়রের অফিস ও বাড়ি, সরকারি অডিট দপ্তরে ও জেলা বিচারকের অফিসে হানা দিয়েছে ফেডারেল পুলিশ। নাম জানা না গেলেও রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। জেলে ঢোকানো হয়েছে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকেও।
এখানেই থেমে থাকেনি, ফেডারেল পুলিশ হানা দিয়েছে মাতো গ্রাসোর গর্ভনর সিলভাল ব্রারবোসার বাড়িতেও। তাঁর বাড়িতে লাইন্সেসহীন এক অত্যাধুনিক বন্দুক পাওয়া গেছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে জামিনে তিনি ছাড়া পান। তিনি আদালতে মুচলেকা দিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে তিনি সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।তদন্তকারীর সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বকলমে সরকারি দপ্তর নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণও করতেন তাঁরাই। এই সরকারি দপ্তর থেকে লাখ লাখ ডলার উধাও। সব কয়টির সঙ্গে বিশ্বকাপ সংক্রান্ত নির্মাণকাজে জড়িত। যদিও সরকারি দপ্তর থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্বকাপের সঙ্গে এ সব কেলেঙ্কারির কোনো সম্পর্ক নেই। রাস্তা তৈরি, রাস্তা সম্প্রসারণ, নতুন ব্রিজ, স্টেডিয়ামের কাজের বরাত পাওয়া সবই হয়েছে এই রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশে। ট্রেনের জন্য লাইন তৈরির কাজ বিশ্বকাপ দূরের কথা, ২০১৫ সালেও শেষ করা যাবে না। কারণ বরাদ্দ অর্থ শেষ হয়ে গিয়েছে বহু দিন আগেই। এয়ারপোর্ট সম্প্রসারণের কাজও চলছে ঢিমেতালে। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক ব্রাজিল জুড়ে পুলিশ ধর্মঘট বিপদে ফেলেছে সরকারকে। বর্ধিত বেতন, সুষ্ঠু কাজের পরিবেশের দাবিতে পুলিশের ধর্মঘট দ্রুত মেটার কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না। প্রথমে বলা হয়েছিল, এক দিনের প্রতীক ধর্মঘট। কিন্তু দেখে-শুনে মনে হচ্ছে, সহজে তা মেটার নয়। সিভিল পুলিশের ধর্মঘট থাকায় ফেডারেল পুলিশ, সেখানে দায়িত্ব নিয়েছে। গত মাসে একই কারণে পুলিশ ধর্মঘট হয়েছিল। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি সরকারি মহলে।