রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বাংলাদেশ-ভারতের সংসদ সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগের ওপর স্পিকারের গুরুত্বারোপ

image_141585.shirin+sharmin+chowdhury+2
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ-ভারতের জনগন ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে বলেছেন, অভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা এবং তথ্যের আদান-প্রদান হলে উভয় দেশ যেমন উপকৃত হবে সদস্যরাও সমৃদ্ধ হবেন।
আজ দিল্লীতে দিল্লী পলিশী গ্রুপ আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কবিষয়ক আলোচনাকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকার পশ্চিমবঙ্গ এবং নর্থ-ইস্ট-এর সদস্যদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান খুবই প্রযোজন। উভয় দেশের সদস্যরা যদি সমস্যা সম্পকের্ অবহিত থাকেন তাহলে তাদের ভূমিকা রাখা অনেক সহজ হতে পারে।এতে আরো আলোচনা করেন, বাংলাদেশর হাইকমিশনার তারিক এ করিম, দিল্লী পলিশী গ্রুপের প্রধান রাধা কুমার।স্পিকার কানেকটিভিটি, বর্ডার ব্যবস্থাপনা , বিদ্যুৎ, জ্বালানি, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়ে দু’দেশের থিং-ট্যাংকদের মধ্যে আলোচনা করার আহবান জানান।তিনি বলেন, আমরা সংসদের জনগণের স্বাথের্ আইন পাস করি। কিন্তু দেখা যায় সেই বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ দিনের পর ফেলে রাখে। তাই সংসদে যে আইন পাস হচ্ছে বা বাস্তবায়িত হচ্ছে কি-না তা মনিটর করার ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন।ড. শারমিন বর্তমান বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে চমৎকার বলে মত প্রকাশ করে বলেন, ভারত তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিস্তার পানি বল্টন চুক্তি এবং সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি বলেন, সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের জন্যে রাজ্যসভায় বিল উত্থাপন ভারত সরকারের আন্তরিকতার বহির্প্রকাশ। তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশর সাথে সম্পর্কের আরো উন্নয়ন এবং অমীমাসিংত সমস্যার সমাধানসহ অঞ্চলের উন্নয়নে খুবই আগ্রহী।
পরে স্পিকার ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।