শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার সাল-২০১৫

জঙ্গি হামলার আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে বছরের শেষদিনটি পার কেরেছে বাংলাদেশ গত ৩১ ডিসেম্বর। শুরু হয়েছে পেট্রল বোমার মধ্যে দিয়ে আর শেষ হয়েছে জঙ্গি হামলার মধ্যে দিয়ে। শুধু ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ৩০টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এইসব জঙ্গি হামলায় দেশি-বিদেশি নাগরিক হত্যা, মসজিদে ও তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার পাশাপাশি পুলিশ হত্যাসহ অর্ধশতাধিক সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুরোর কার্যক্রম। জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হয় দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রকাশক, ব্লগার, ধর্মীয় নেতাসহ বিদেশি নাগরিকরাও। বছরজুড়ে এমপি, মন্ত্রীসহ, সাংস্কতিক ব্যক্তিত্বসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের হত্যার হুমকি দিয়ে ইমেইল, মেইল, ম্যাসেজ পাঠিয়ে জঙ্গিদের তৎপরতা ছিল ২০১৫ সাল।
দেশি জঙ্গি সংগঠনের নামের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের নামে বাংলাদেশে জঙ্গিদের কার্যক্রমের তৎপরতা শুরু হয়। যদিও আমাদের দেশের এমপি মন্ত্রীরা বার বার আমাদের মিডিয়া ভাইদের বলে আসছে বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো অস্তিত্বও নেই। যদি জঙ্গি সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব বা না থাকে তাহলে এই যে জঙ্গি হামলা গুলো হলো সে গুলো কারা করেছে। আপনাদের যে বার বার চিঠি, মেইল, ম্যাসেজের মাধ্যমে হুমকি পাঠাচ্ছে কারা করছে। হ্যাঁ আপনারা এই কথার মধ্যে দিয়ে বিরোধী দলের দিকে ইঙ্গিত করছেন। সেটা আজ দেশবাসী খুব ভারো করে জানে।
এমনকি আল কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের জঙ্গিদেরও তৎপরতা দেখা যায়। ভয়ঙ্কর হামলার পাশাপাশি জেলখানাসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনাসহ জেলে থাকা জঙ্গিদের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তসহ অন্যান্য জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার একাধিক চেষ্টা করে জঙ্গিরা।
এসব তৎপরতার অংশ হিসেবেই বছরের শুরুতে বিচ্ছিন্নভাবে হত্যার মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতা বছরের শেষদিকে এসে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত জঙ্গি দমনে দেশের ৬৪ জেলায় স্পেশাল টাস্কফোর্স গ্রুপ নামে পুলিশের বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়।
পুলিশের হিসেব অনুযায়ী এই বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০টির মত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী দেশের মোট জঙ্গি হামলার ২৭টির মত ঘটনার সাথে জড়িত জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট ত্রিশটি জঙ্গি হামলার মধ্য যে গুলো সব চেয়ে বেশি আলোচিত সেই হামলার সাথে জড়িত তেমন কাউকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ভবিষ্যতে কোনো দিন পারবে কিনা তাও সন্দেহ আছে। সারা দেশে পুলিশের এত বেশি নিরাপত্তার পরও অনেক গুলো ঘটনা ঘটে গেছে। আবার এর মধ্যে দেশের সরকার এই সব জঙ্গি হামলার গুলোর দায় সরকার নিচ্ছে না। সরকার এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।