রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বাংলাদেশের অর্থনীতি বিনিয়োগ সহায়ক : খালিজ টাইমসকে প্রধানমন্ত্রী

image_144644.hasina pm
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশে পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।সোমবার খালিজ টাইমসে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি সহায়ক এবং সকল সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক জোরালো রয়েছে। তিনি বলেন, কেউ বিনিয়োগে আগ্রহী হলে আসুন এবং আমাদের অবস্থা দেখুন। আমাদের পক্ষ থেকে অবশিষ্ট সুযোগ-সুবিধাসমূহ দেয়া হবে। আমরা পরিবেশ তদারকি সহজ করেছি, যা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগের তুলনায় এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ অনেক ভাল। আমরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছি। আমরা এখন ইউএই ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশের বৃহত্তম বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের চেষ্টা করছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে তিন হাজার ৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ বেড়ে এক হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রয়েছে। কখনো কখনো ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি পায়। ফলে যেকোনো বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ থেকে ভালো মুনাফা তুলে নিতে পারবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প উচ্চমান এবং কম উৎপাদন খরচ, নমনীয় উৎপাদন ব্যবস্থা এবং যথাসময়ে সরবরাহের অঙ্গীকার পূরণের কারণে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বিপুল সুনাম অর্জন করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইউএই’র সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী এবং বন্দর, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, আবাসন, বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন ও টেলিযোগাযোগের মতো নতুন খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপনে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বাংলাদেশ রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।বাংলাদেশের ‘ব্লু ইকোনমি’-এর ধারণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে উপকূলীয় ও দ্বীপ দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জসহ সীমাবদ্ধ পরিস্থিতিতে তুলনামূলক সক্ষম টেকসই উন্নয়নের ধারণা তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বাংলাদেশ ২০১২ সালে মায়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াইয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করেছে। এ জন্য বাংলাদেশ নিজেকে ‘ব্লু ইকোনমি’ দেশ হিসেবে দাবি করতে পারে।