বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা

61810_79_88559
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড় সীমান্তে প্রতিবারের ন্যায় এবারও দুই বাংলার মিলন মেলা বসেছে। সোমবার পঞ্চগড় অমরখানা, মাগুরমাড়ী, সুকানী সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে দুই বাংলার এই মিলন মেলা বসে। পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ৯৩ বিএসএফ এর উদ্যোগে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা সীমান্তের ৭৪২/৭৪৩/ ৭৪৪ মেইন পিলার সংলগ্ন প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ ও ভারতের হাজার হাজার মানুষের এই মিলন মেলা বসে।
মিলন মেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের সীমান্তে পর্যাপ্ত বিজিবি ও বিএসএফ মোতায়ন করা হয়। কঠোর পাহারায় কাঁটা তারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে স্বজনদের একদৃষ্টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লাখো মানুষের ঢল নামে। এই ক্ষণিক মিলনে অনেকেই  আবেগ আপ্লুত হয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।উল্লেখ্য, ১৯৪৭-এ ভারত বিভক্তির আগে বর্তমান পঞ্চগড় জেলা ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত থাকায় মানচিত্র বিভক্তির কারণে অনেকেই ভারত-বাংলাদেশ ভূখন্ডে আলাদা হয়ে যায়। এরপর সীমান্তে  নানা  জটিলতার কারণে তাদের মধ্যে আর আগেরমতো দেখা করার সুযোগ হয়ে উঠেনি। তাই পহেলা বৈশাখ এলেই ভূখন্ডে বিভক্ত স্বজনদের একপলক দেখতে শত মাইল পেরিয়ে অমরখানা সীমান্তে মিলিত হয় দুই বাংলার লাখো মানুষ।সাধারণ মানুষসহ নানা পেশার মানুষ এ মিলন মেলায় এসে স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারায় আনন্দিত হয়। এই আবেগের জায়গা থেকেই অনেকেই  সরকারের প্রতি দাবি তুলেছেন যে, এ মিলন মেলাকে যেন দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলায় রূপান্তরিত করে স্থায়ী রূপ দেয়া হয়।