রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ফেরত দিলো মিয়ানমার

naikongchari-31-5-pic===4_105984

দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা পর নিহত বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত দিলো মিয়ানমার।শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল ফরিদ হোসেনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। এরপর জিরো পয়েন্ট থেকে কফিনে করে মিজানুর রহমানের লাশ আনা হয় লেম্বুছড়ি ক্যাম্পে। রাতেই নিহত মিজানের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
এর আগে বিকেলে সীমান্তে গুলিতে আহত বিজিবি নায়েক মিজানুর রহমানের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি। শনিবার বিকেলে সীমান্তের ৫২ নং পিলরের কাছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে বিজিবির পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সমঝোতার পর মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত দেয় বিজিপি। এরপর মিজানুর রহমানের লাশ সনাক্ত করে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে: কর্ণেল শফিকুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানের লাশটি সনাক্ত করে বিজিবি গ্রহণ করেছে।এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চরম বিরাজ করছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময়ের পর মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। দোছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও বিজিপি নিজ নিজ সীমান্তে নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে। উভয় দেশ সীমান্তে বাড়িয়েয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
বিজিপির আরাকান রাজ্যের সিতুইয়ের পুলিশ কর্নেল তুনও শুক্রবার দেশটির একটি পত্রিকাকে জানান, ২৮ মে সংঘর্ষ শুরু হলে অন্য পক্ষের (বাংলাদেশ) একজন আমাদের পুলিশ বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে শনিবার সকাল থেকে বিজিবি অবজারভেশন পোস্টে (বিওপি) সেনা সদস্যসহ আরো প্রায় দেড় শতাধিক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে। অপরদিকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীও তাদের সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
এ পরিস্থিতিতে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। উভয় দেশের সীমান্ত এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে পাইনছড়ি এলাকার আশপাশের পাড়াগুলোর লোকজন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বুধবার মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের গুলিতে নিহত হন বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান। শুক্রবার তার লাশ ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে উল্টো গুলি বর্ষণ করে বিজিপি। পাল্টা গুলি চালায় বিজিবি। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই গুলিবিনিময়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে।