শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দুর্যোগের মুখোমুখি চট্টগ্রাম, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

ctg_114275

টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ভয়াবহ দুর্যোগের মুখোমুখি চট্টগ্রামবাসী। গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার কারণে চট্টগ্রামে রোববার তৃতীয় দিনের মতো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জলাবদ্ধতায় নগরীর কয়েক লাখ পানিবন্দি মানুষের সামনে নতুন দুর্ভোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে খাদ্যসঙ্কট। নগরের ষোলশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, বাকলিয়ায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।পানিতে ডুবে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় শহরের অধিকাংশ হাটবাজার বন্ধ রয়েছে। যেসব বাজার চালু আছে, সেখানে নিত্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নগরীর বেশিরভাগ পোশাক কারখানাতেও কাজ হচ্ছে না। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পণ্য ওঠানামা ও খালাশ বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগের আশঙ্কায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। আশ্রয় কেন্দ্রে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৮১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭২ ঘণ্টায় ৬১৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টির কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে।আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর। একই কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

উৎস- যুগান্তর