সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

তারেক রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন, আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে : কামরুল

image_71880.1393683759.

 

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, তারেক জিয়া পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস বিকৃত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযাগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখন ইতিহাস বিকৃত করছে। তারা তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। ইতিহাস বিকৃতি ও তথ্য সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
আজ শুক্রবার সকালে পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি এই সভায় বলেন, সংবিধান না জেনে তারেক জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন। তারেক জিয়াকে অর্বাচীন ছেলে হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, যারা পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে ও আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা আজ এক হয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সময়কালের ঘটনাকে নিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নষ্ট করতে চায়।প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাকশালের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমদের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এম এ জলিল।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম মুরাদ ও এম এ করিমসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর থেকে এদেশে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তারা ২১ বছর দেশে ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। আবারও যখন দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসছে তখন একাত্তরের পরাজিত শত্র“দের সাথে হাত মিলিয়ে তারেক জিয়া বিদেশে বসে মিথ্যাচার করছেন। এ দেশের গণমাধ্যম কিভাবে এসব বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে তা তার বোধগম্য নয় বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়া, খালেদা ও তারেক একই উৎস থেকে এসেছেন। তাদের দল বিএনপির জন্মও অবৈধ পথে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে শত শত মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করেছেন। তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না।তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্যে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত বিগত সময়ে দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা একাত্তরের ঘটনাকেই আবার মনে করিয়ে দেয়।তারা বাংলাদেশকে মানতে পারছেন না। তাই সময় এসেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতা ও বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।সভায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাকশালের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।