সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

তরুণ উদ্যোক্তা দিয়েই অর্থনৈতিক লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব

image_150570.01

 

দেশের তরুণ উদ্যোক্তা শনাক্তরণ, নীতিমালা তৈরি, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকের বিশেষ সেল গঠন করে ফান্ড গঠন, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং একটি তরুণ উদ্যোক্তা পল্লী গঠনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এগুলো পেলে শুধু তরুণরাই দেশের অথনৈতিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আজ বৃহষ্পতিবার চিটাগাং খুলশী ক্লাবে জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার ও কালের কণ্ঠের যৌথ আয়োজনে এক গোলটৈবিল বৈঠকে তরুণ উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরা এই দাবি জানান।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তৃতায় জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট ও এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত বলেন, তরুণদের আইডিয়াগুলো চমৎকার ও উদ্ভাবনীমূলক। কিন্তু তরুণদের এই নতুন ও ভিন্নধর্মী চিন্তা শুনতে চায় না সবাই। অর্থলগ্নিকারীরা উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঋণ সহায়তা দিতে চায় না, কেউ দিলেও আবার আগেই ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা চায়। ফলে উদ্যোগের প্রথমেই এই তরুণরা হোঁচট খায়, হতাশ হয়ে পড়ে।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, দেশের দুর্বৃত্তরা ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে খালি করে দিচ্ছে। বিপরিতে সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তারা উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঋণ পাচ্ছে না। এভাবে আর চলতে পারে না, চলতে দেয়া যায় না।
আজকের এই তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে, দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই তরুণ এবং তাদের যেকোন কল্যানকর কাজে কালের কণ্ঠ সব সময় সম্পৃক্ত থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বড়তাকিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ৩৫ বছরের নীচে দেশে ছয় কোটি তরুণ রয়েছে। তাদের সম্ভাবনা কাজে না লাগালে কাঙ্ক্ষিত অথনৈতিক লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। দেশের সমাজ উল্টোপথেই চলছে, তেল মাথায় তেল দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো অথচ আজকের যে ব্যক্তি প্রথম ব্যবসা শুরু করতে চাইছে তাদের নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক বলেন, আমরা তরুণদের সম্ভাবনাগুলো নিয়ে শুনতে চাই কম। বলার মানসিকতা বেশি। এটা পরিহার করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলাতে গেলে আগের প্রজন্মের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, এই প্রজন্মের আধুনিক ও উদ্ভাবণী ক্ষমতাগুলো কাজে লাগাতে হবে। অন্যথায় দেশ পিছিয়ে পড়বে।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বল ও পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার কারণে আমরা এগোতে পারছি না। তরুণ উদ্যাক্তারা বিনিয়োগের পরিবেশ পাচ্ছে না, আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সামগ্রিক নেতৃত্বের মধ্যে এই তরুণদের সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
এন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুরুল হক বলেন, সরকার রাজস্ব আদায়ে যেভাবে উদ্যোগী থাকে সেই ভূমিকা যদি তরুণ উদ্যাক্তাদের সহায়তার ক্ষেত্রে করে তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে নিশ্চিত।
জেসিআই চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাশফিক আহমেদ রুশাদের সমাপনী বক্তব্যে প্রানবন্ত আলোচনায় অংশ নেন, সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটির পরিচালক এমবিএ প্রোগ্রাম ড. দেবাশীষ চক্রবর্তী, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের অ্যাসিটট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সোলায়মান হোসাইন, বনলতা অ্যাপারেলসের মনিকা চক্রবর্তী, এস এম ট্রেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আবসার মজুমদার, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাহবুবুর রহমান, এমজেএল বাংলাদেশের প্রডাকশন প্ল্যানার জসিম আহমদ, চট্টগ্রাম মেরিন ডকইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তালেব সিদ্দিকী, ফুলকলি গ্রুপের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, কিউপি ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরফুদ্দিন মাহী, আর এস গ্রুপ অব কম্পানির মহাব্যবস্থাপক ওয়াহিদুল আলম, ক্রিসল্যান ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক নূর ই জান্নাত জেমি, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক আশিক এ. রহমান, জেসিআই চট্টগ্রামের সদস্য তৌহিদ আহমদ প্রমুখ।