বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একি হাল!

পলাশ মাহবুব :: গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার প্রায় ৪০ কিলোমিটার ফোর লেন এর দুপাশেই ছোট বড় গর্ত এবং কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। গর্তগুলোতে ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় পড়েছে বিভিন্ন যানবাহন। আবার গত দেড় বছর ধরে চলমান মীরসরাই সদর বাজার অংশে এখনো শেষ করতে পারেনি উভয় লেন। এরি মধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় মীরসরাই থানার সামনেই সৃষ্ট হাঁটু পরিমাণ কাদায় আটকে যাচ্ছে অনেক যানবাহন। উপজেলার এমন সব অংশ দ্রুত সংস্কার করা না হলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রীদের।

ফোর লেন এর মীরসরাইয়ের বিভিন্ন অংশে সড়কের মাঝে পানি জমে পিচ্ছিল আকার ধারন করে আছে। অনেক স্থানে গর্তের কারণে ধীর গতিতে যান চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যা আগামীদিনে আরো বড় ধরনের রূপ নিতে পারে।

সরেজমিনে মীরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ধুমঘাট ব্রিজ থেকে বড়দারোগাহাট পর্যন্ত অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মান্তাননগর বিশ্বরোড, মিঠাছড়া বাইপাস, জামালের দোকান, সুফিয়া রোড, মীরসরাই সদর, বড়তাকিয়া বাইপাস, নয়দুয়ারিয়া, হাদিফকিরহাট, নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বড়কমলদহ ও বড়দারোগাহাট এলাকায় সড়ক এলাকায় ছোট বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে এসব এলাকায় যানবাহন তার স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে মালবাহী ভারী যানবাহনগুলি। মহাসড়কের যাত্রীরা জানান, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেই পুরোনো ক্ষতগুলো আবারো বেরিয়ে এসেছে। বৃষ্টি যত বেশি হচ্ছে এসব গর্ত ও খানা-খন্দ বড় আকার ধারণ করছে।

সড়কে অসংখ্য গর্তের কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চলাচলের কারণে যানজটে আটকা পড়ে গাড়ির যাত্রীরা রাস্তায় বসেই ইফতার সারছে। চট্টগ্রাম থেকে গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ইউনিক বাস যাত্রী নুরুল আলম (৪৪) বলেন চট্টগ্রাম থেকে মীরসরাই পার হতে সাধারণত দেড় ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ ৩ ঘণ্টা লেগে গেল। কোথাও জ্যামও নেই। শুধুমাত্র গর্তের জন্য গাড়ি গতি পাচ্ছে না। এ বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলী গর্ত হবার দায় স্বীকার করে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে কিছু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলেই বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করলে সড়কে আর গর্ত থাকবেনা।