শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ডিজিটা কোর্সে দক্ষতা অর্জন করছে মীরসরাইয়ের মেহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়

mirsarai pic,2, for ctg kantha,06.11.15

আকাশ ইকবাল :: বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত ভিশন ২০২১কে কার্যত লক্ষে পৌঁছাতে সরকার ইতি মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টি মিডিয়া কাস চালু করণ। সেই লক্ষে কাসের পড়া কাশে শেষ, বাসায় থাকবো মজায় বেশ, মাল্টিমিডিয়ায় বাংলাদেশ! এই স্লোগানকে ধারণ করে দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ন্যায় মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের অজ-পাড়াগাঁয়ে অবস্থিত, মেহেরুন্নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়টিও সরকারের এমন ডাকে সাড়া দেয়। তাই গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাত্র ১৪ দিনের প্রশিক্ষন শেষে সরকার থেকে পাওয়া মাল্টিমিডিয়া কাসের জন্য উপকরণ, একটি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টকরডিভাইস ও একটি মডেম। আর এই নিয়ে ১৪ দিনের সরকারী প্রশিক্ষণে অংশ নেন ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মহিউদ্দিন ওসমানী (বিএসসি বিএড)। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি এই কার্যক্রম উক্ত বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে প্রদর্শন করেন। সেই থেকে অদ্যাবদি তিনি তাঁর প্রতিটি কাসে বিষয় ভিত্তিক এক একটি কনটেন্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রাঠদান করে আসছেন। সম্প্রতি ওই বিদ্যাপীঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণি কক্ষের প্রতিটি দরজা জানালা বন্ধ। ভেতরে কি হচ্ছে বাইর দেখে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে শ্রেণি কক্ষটি বন্ধ! কিন্তু না ভেতরের চিত্রটি সম্পূর্ণ আলাদা। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক একটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেয়ালে একটি মনিটর প্রদর্শন করেছেন, তার মধ্যে ওই মনিটরে তিনি যে বিষয়ে পাঠদান করবেন সে বিষয়ের বিভিন্ন সাপ্টার ল্যাপটপ থেকে তিনি নির্দেশনা দিচ্ছেন। আর ওই নির্দেশে প্রতিটি কনটেন্ট প্রকাশিত হচ্ছে। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের তা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও শির্ক্ষাীদের উদ্দেশ্যে তার লেকচারের সাথে সাথে ওই ছিত্রটি এবং পাঠটি মনিটরে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীরা তা মনোযোগ সহকারে বুঝে নিচ্ছে এবং শ্রেণি কক্ষে ওই বিষয়ের পাঠ্যক্রম শেষ করছেন। এভাবে পাঠদান করতে পেরে শিক্ষকও আনন্দিত। এসময় নবম শ্রেনির শির্ক্ষীদের সাথে আপলাপ কালে তাদের মধ্যে ফাতাহ নূর, তামিম উদ্দিন ও শাহরিয়া ঈমন বলেন, আগে স্যার’রা যেভাবে পড়াতেন সেখানে অনেকে ঠিকমতো বুঝতোনা এবং মনোযোগি হতোনা এখন সবাই মনিটরের দিকে তাকিয়ে স্যারের দেয়া নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে। তাই কাসের পড়া এখন কাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে! বাড়ীতে এখন আমাদের আর বাড়তি প্ররিশ্রম করতে হয় না। আমরা চাই প্রতিটি বিষয়ে সরকার যেন এভাবে পাঠদানের ব্যবস্থা করে দেয়। এ বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষক মহিউদ্দিন ওসমানী (বিএসসি বিএড) বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালে যোগদান করার পর ২০১৪ পর্যন্ত পাঠদান করে এতটুকু আনন্দ কখনো উপভোগ করিনি। মাল্টিমিডিয়া কাসের ওপর প্রশিক্ষন নিয়ে আসার পর থেকে এভাবে প্রতিটি কাসে পাঠদান করে আসছি। আমি এতে খুব আনন্দিত এবং শিক্ষার্থীরাও খুব উৎপুল্ল। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো ঃ শাহজাহান বলেন, সরকার থেকে নির্দেশনা আসার পর প্রশিক্ষনের জন্য যেতে কোন শিক্ষক রাজি হচ্ছিলো না। মহি উদ্দিন সাহেবকে এক প্রকার আমি জোর করে পাঠিয়েছি। বর্তমানে উনার কাসের প্রতি ছাত্রদের আগ্রহ দেখছি খুবই বেশি। তারা শুধু অপেক্ষায় থাকে স্যার কখন আসবে আর মাল্টিমিডিয়া কাস কখন করাবেন। এছাড়াও উনাকে সহযোগিতা করার জন্য ইতিমধ্যে উত্তম বাবুকেও প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, আমি সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং সরকারের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো একটি উয্যোগ নিয়েছেন। আমি চেষ্টা করছি আগামী দিন গুলোতে প্রতিটি শ্রেনিতে প্রতিটি বিষয়ের ওপর মাল্টিমিডিয়া কাস চালুর ব্যবস্থা করতে।